কী অসাধারণ ক্যাচ ধরলেন তাসকিন!
কুশল মেন্ডিস। লঙ্কান ক্রিকেট দলে উদীয়মান এক ব্যাটসম্যান। তবে এখনও পর্যন্ত ২৩টি ওয়ানডে খেললেও একটি সেঞ্চুরির দেখাও পাননি তিনি। সর্বোচ্চ ইনিংস ৯৪। তবে ডাম্বুলার রণগিরি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের কাছে প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর শ্রীলঙ্কানরা যে ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস দেখাচ্ছে, সেটা কেবল কুশল মেন্ডিসের ব্যাটের কল্যাণেই।
২২ বছর বয়সী এই তরুণ ব্যাট করেন তিন নম্বরে। গুনাথিলাকাকে যখন মাশরাফি প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠালেন, তখন মাঠে নামেন মেন্ডিস। নেমেই ছড়াও হলেন বাংলাদেশের বোলারদের ওপর। মিরাজ, মোস্তাফিজ, সাকিব, মোসাদ্দেক কেউই সমীহ আদায় করতে পারছিলেন না মেন্ডিসের কাছ থেকে। শেষ পর্যন্ত ১০২ বল খেলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি করে ফেললেন মেন্ডিস।
তার সেঞ্চুরির পরই অবশ্য লঙ্কান ব্যাটিং লাইনআপের ওপর আঘাত হানেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার অসাধারণ ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান দিনেশ চান্দিমাল। এরপরই বোলিংয়ে নিয়ে আসা হলো তাসকিন আহমেদকে। বোলিংয়ে এসেই অসাধারণ এক ডেলিভারিতে ফিরিয়ে দিলেন সেঞ্চুরিয়ান কুশল মেন্ডিসকে।
তবে, মেন্ডিসের আউটে অন্য কারও সহযোগিতা নিতে হয়নি তাসকিনের। না, মেন্ডিসকে বোল্ড করেননি তিনি। লেগ বিফোরও না। ক্যাচ আউট হয়েছেন তিনি। নিজের বলে নিজেই মেন্ডিসের ক্যাচটা ধরলেন তাসকিন। তবে, এমন অসাধারণ ক্যাচ খুব কমই দেখা যায়।
১১২.৩ কিলোমিটার গতিতে বল করলেন তাসকিন। স্লোয়ারই বলা যায়। কিছুটা স্লো বল পেয়ে সজোরে হাঁকালেন মেন্ডিস। বল তীব্র গতিতে ছুটে এসে আঘাত করলো তাসকিনের কাঁধে। পেসাররা এমন গতির বল ঠেকাতে পারেন খুব কমই। তবে তাসকিনের কাঁধে বল লেগে উঠে গেলো উপরে। পেছন ফিরে একটু দৌড়ে সেই ক্যাচটি নিজেই তালুবন্দী করলেন তাসকিন।
তবে, কাঁধে বেশ আঘাতেই পেয়েছেন তাসকিন। ক্যাচ ধরার পরই দেখা গেলো, কাঁধ ধরে চোখ-মুখ কুঁচকে সতীর্থদের সঙ্গে উইকেট পাওয়ার আনন্দ ভাগাভাগি করলেন।
মন্তব্য চালু নেই