কি করবেন ভালোবাসা দিবসে?
চলছে বইমেলা ৷ আসছে বসন্ত উৎসব আর ভ্যালেন্টাইনস ডে৷ সব মিলিয়ে ঢাকা শহরের তরুণ-তরুণীদের জন্য আনন্দের খবর৷
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভালোবাসা দিবসের সময়টা একটা নতুন মাত্রা যোগ করেছে৷ কেননা এই দিবসটা এমন সময়ে পালিত হয় যখন বাংলাদেশে বসন্ত ঋতুর আগমন ঘটে৷ বসন্ত ঋতুর ক্ষণগণনা শুরু হয় ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে, যার একদিন পর অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে৷ ‘‘একদিন আগে পরে এই দুইটি দিন উদযাপিত হওয়ায় আমাদের দেশের যুবক-যুবতীদের উৎসব সংস্কৃতিতে মহাউৎসবের রূপ পেয়েছে ভ্যালেন্টাইনস ডে৷ আর আমাদের দেশের রাজধানী ঢাকার যুবক-যুবতীদের কাছে এ দিনটি আরো উৎসবের আমেজ পায় চলমান অমর একুশের বইমেলার কারণে৷”
মোবাইল ফোন বা অবাধ তথ্যপ্রযুক্তির যুগে প্রেম ভালোবাসার ক্ষেত্রে যোগাযোগের বিষয়টি সহজলভ্য হলেও পাল্টে যাচ্ছে ভালোবাসার ধরন ও সংজ্ঞা৷ ‘‘একদার পবিত্র ভালোবাসার ঘরে প্রবেশ করছে যৌনতা৷ প্রেমের বাজারে এখানে প্রতারণা হচ্ছে প্রতিনিয়তই৷ এক একজন প্রেম করছে একাধিক নারী-পুরুষের সাথে৷”
সবার উচিত নিজেদের নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা৷ বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে তিনি বিষয়টা সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন৷ যেমন তিনি লিখেছেন, ‘‘…নারী পুরুষ দুই পক্ষেরই সৌন্দর্য্যের প্রতি আকর্ষণ থাকাটা একটি জন্মগত স্বভাব৷ খুবই স্বাভাবিক এবং তাতে কোনো দোষ নেই৷ ঠোঁটের উপর সুন্দরবন এবং কপালের উপর সাহারা মরুভূমির অধিকারী পুরুষ যেমন জীবনসঙ্গিনী হিসেবে ঐশ্বরিয়া রাইকে চায়, তেমনি মুখে বিশাল বিশাল আচিলওলা, মোটামুটি পর্বতাকার মেয়েটিও ঋত্বিক রোশানের স্ত্রী হতে চায়৷ সমস্যা ঘটে তখন, যখন বিয়ের পরেও তাদের এই আপশোস যেতে চায় না৷”
এটা ঠিক না ৷ এমনটা ভাবতে গিয়ে সময় নষ্ট করার পর মানুষের এক সময় মনে হয়, ‘‘ইহা আমি কী করিলাম!”
নিজের জীবনসঙ্গী/সঙ্গিনীকে নিয়েই সুখী হবার চেষ্টা করুন৷ সুন্দরভাবে কথা বলুন, একসাথে হাসুন, ভাল কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে যান; সবার উপরে…..ভালবাসুন! দুজনের আনন্দময় মুহূর্তের ছবি তুলে ফেসবুকে দিন! সুখী দম্পতি দেখতে সবারই ভাল লাগে৷ দেখুন কয়টা লাইক এবং কমেন্ট পান! কে বলতে পারে, আপনার কালো স্ত্রী অথবা ভুড়িওলা স্বামীর মাঝেই হয়তো এমন কোনো গুণ আছে যা শাহরুখ খানেরও নেই৷ জীবনানন্দ দাসকে মোটেও সুদর্শন ব্যক্তি বলা চলে না, অথচ তাঁর মতন রোমান্টিক কবিতা স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও কী লিখতে পেরেছিলেন?”
মন্তব্য চালু নেই