কিশোরীর ইজ্জতের মূল্য ২০ হাজার, সালিশের পকেটে ৫০

চাঁদপুরে এক কিশোরীর ইজ্জতের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা। এলাকার মাতব্বররা সালিশ বৈঠকে এই টাকার পরিমাণ নির্ধারণ করেন। আর সালিশে অংশ নেয়া মাতব্বররা ৫০ হাজার টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেন।

আজ শুক্রবার বিকালে চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কিশোরীর ভগ্নিপতি আবদুল রহিম বেপারী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, শহরের বড় স্টেশন এলাকার রেলওয়ে শ্রমিক কলোনির অটো চালক শফিকুর রহমানের কিশোরী কন্যাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বড় স্টেশন এলাকার রকেট ঘাটের বশিরউল্লা মিজীর ছেলে কাউছার মিজী ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে।

গত মঙ্গলবার এ ব্যাপারে ধর্ষিতা কিশোরী চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ করে। অভিযোগের পর কাউছার এলাকা থেকে গা ঢাকা দেয়। এলাকার সালিশ বিল্লাল, রহিম বেপারী, হায়দার, কালু বেপারী, কাদের বেপারীসহ প্রায় ৮/১০ জন মডেল থানায় গিয়ে সালিশ করে দেওয়ার কথা বলে দায়িত্ব নেয়।

গত ২ দিন ঘোরাঘুরির পর কিশোরীর মেডিক্যাল খরচ বাবদ ২০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শুক্রবার বিকালে ৩নং কয়লাঘাট বিল্লাল মিয়ার গদিতে বসে এ সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ভবিষ্যতে তাকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার সময় কাউছারের পিতা বশির উল্লা সহযোগিতা করবে-এমন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয় শফিকুর রহমানের উপর।

অপরদিকে সালিশের নামে বশিরউল্লার নিকট থেকে আরো ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় মাতব্বররা। বশিরউল্লা অভিযোগ করে বলেন, সালিশ বৈঠকে এলাকার মাতব্বররা আমার কাছ থেকে মোট ৭০ হাজার টাকা নিয়েছে। এরমধ্যে মেয়েকে দিয়েছে ২০ হাজার টাকা। আর তারা নিয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে মাতব্বরদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আর চাঁদপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।



মন্তব্য চালু নেই