রাউজান (চট্টগ্রাম) এর কিছু খবর
কাল গহিরা ও হলদিয়ায় আসছেন আল্লামা তাহের শাহ্
আওলাদে রাসুল আলহাজ্ব আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মা.জি,আ) ও আল্লামা সৈয়্যদ কাশেম শাহ (মা,জি,আ) ২২ জানুয়ারী বৃহ¯পতিবার রাউজানের গহিরা মৌলভী বাড়ী ও হলদিয়া আসবেন।
জানা যায়, ইউ.এ.ই আবির গাউছিয়া কমিটির যুগ্ন স¤পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ মাহবুবুল আলমের উদ্যোগে হুজুর কেবলাদ্বয় তার পশ্চিম এয়াছিন নগরস্থ বাড়ীতে গমন করবেন। এই দিন বেলা ২টায় গর্জনীয়া ফাযিল মাদ্রাসা ময়দানে মহিলাদের চবক দান ও বিকাল ৩টায় আমিরহাট এয়াছিন শাহ কলেজ ময়দানে দোয়া মাহফিলে হুজুর কেবলা শুভাগমন করবেন।
এই উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক জরুরী প্রস্তুতি সভা আল্লাামা কাজী উপাধ্যক্ষ সাইদুল আলম খাকীর সভাপতিত্বে ও মাহবুবুল আলমের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন হলদিয়া ইউনিয়ন গাউছিয়া কমিটির সাবেক সভাপতি এস এম শহিদুল্লাহ, বিশিষ্ট সংগঠক সৈয়্যদ মুহাম্মদ আলী আকবর তৈয়্যবী, সাংবাদিক এম বেলাল উদ্দিন, ইউপি সদস্য আলহাজ্ব হাছান মাহমুদ, মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু,জহুর আহম্মদ,কাজী মওলানা মুহাম্মদ মুছা প্রমুখ।
সভায় হুজুর কেবলার আগমন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মচুসী হাতে নেওয়া হয়। এদিকে গহিরা মৌলভী বাড়ীস্থ জামে মসজিদ ময়দানে উপস্থিত হবেন সন্ধ্যা। এই উপলক্ষ্যে জামে মসজিদ ময়দানে মহিলাদের চবক দান ও দোয়া মাহফিলে হুজুর কেবলা শুভাগমন করবেন।
রাউজানে ডাকতির ঘটনার রহস্য উদঘাটিত করেছে পুলিশ : আদালতে ডাকাত শাহিনের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধি
চট্টগ্রাম রাউজান উপজেলার বিনাজুরীতে খুন সহ ডাকাতির ঘটনার রহস্য উদঘাঠিত করেছে রাউজান থানা পুলিশ। আটক ডাকাত শাহিন ডাকতির ঘটনার সাথে নিজে জড়িত বলে স্বীকার করে ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য ডাতাতদের নাম ঠিকানা আদালতে জবানবন্দ্বিতে ন্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, রাউজানের বিনাজুরী ইউনিয়নের পুর্ব বিনাজুরী এলাকায় দাশঁ পাড়া ও পাশ্ববর্তী বড়–য়া পাড়া এলাকার বারটি ঘরে গত ১৯ নভেম্বর ভোর রাতে ডাকতির ঘটনা সংঘঠিত হয়। ডাকতির ঘটনার ডাকাতদলের সদস্যরা সুমন দাশ নামে এক গৃহকর্তাকে গুলি করে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এই দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনার পর ডাকাতের হাতে নিহত সুমন দাশের ভাই সুজন দাশ বাদী হয়ে রাউজান থানায় হত্যা ও ডাকাতির ঘটনার ব্যাপারে মামলা করেন। মামলায় অঞ্জাতনামা ডাকাতদের আসামী করা হয়। ডাকাতির ঘটনার মামলাটি তদন্ত করেন রাউজান থানা ওসি (তদন্ত) আলমগীর। মামলাটি তদন্ত করে ডাকাতির ঘটনার রহস্য উদঘাঠিত করতে বিলম্ব হলে ও অবশেষ ডকাতির ঘটনার রহস্য উদঘঠিত করতে সক্ষম হয়েছে রাউজান থানা পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাউজান থানার ওসি আলমগীর জানান, গত ১৯ জানুয়ারী ডাকাতের হাতে নিহত সুমন দাশের লুট হওয়া মোবাইল ফোনে ফোন করলে মোবাইল ফোনটি সক্রিয় পায় পুলিশ। পরে মোবাইল র্ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে নগরীর চান্দগাও এলাকা থেকে সুমন দাশের মোবাইল ব্যবহার কারী ইকবাল হোসেনকে রাউজান থানা পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ইকবাল হোসেন সুমন দাশের মোবাইল ফোনটি চান্দগাও এলাকার গোলাপের দোকান এলাকার মোঃ শহিন থেকে ক্রয় করেছে বলে জানায়। ইকবাল হোসেনের দেওয়া তথ্য অনুসারে হাটহাজারী সাকের্লের সহকারী পুলিশ সুপার আফম নিজামউদ্দিন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাউজান থানার ওসি আলমগীর তদন্ত ও রাউজান থানার এস আই হায়াত উদ্দিন খন্দকারের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযাণ চালিয়ে দুধর্ষ ডাকাত মোঃ শাহিন (২৮) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গত ২০ জানুয়ারী বুধবার ডাকাত শাহিনকে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট কুদরত এলাহির আদালতে সোর্পদ করলে ডাকাত শাহিন আদালতে ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত খাকার কথা স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দ্বি প্রদান করেন। আদালতে দেওয়া জবানবন্দ্বিতে ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত রাউজান বাশখালী, এলাকার ১২ জন ডাকাতদের নাম ঠিকানা প্রদান করেন ডাকাত শাহিন।
একই আদালতে একই দিনে ডাকাতের হাতে নিহত সুমন দাশের লুট হওয়া মোবাইল ফোন ক্রেতা ইকবাল হোসের স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। আদালত ডাকাত শাহিনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে গত বুধবার ডাকাত শাহিনকে আদালতে প্রেরণ করেন পুলিশ।
রাউজান থানার ওসি তদন্ত আলমগীর জানান, ডাকাত শাহিনের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দ্বিতে স্বীকার করা ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত অনান্য ডাকাতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযাণ চালিয়ে যাচ্ছে। ডাকাত শাহিন পটুয়াখালী জেলার দুমকি থানার ননদুয়ালী এলাকার মেতালেব খানের পুত্র। সে দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের চান্দঁগাওঁ থানার গোলাপের দোকান এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করে আসছে।
ডাকাত শাহিনের বিরুদ্বে রাক্সগুনিয়া, বাশখালী থানায় ও নগরীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
মন্তব্য চালু নেই