কালো কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ায় গৃহবধূকে খুন

শ্বশুর বাড়ির পাশের নাগর নদীতে গৃহবধূর মৃতদেহ ভেসে ওঠাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল করণদিঘি থানার রাঘবপুর এলাকায়। মৃত গৃহবধূ সানোয়ারা খাতুনের বাপের বাড়ির অভিযোগ, কালো কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় লাগাতার অত্যাচার চলতো মেয়ের ওপর। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে অবশেষে খুন করা হয়েছে তাঁদের মেয়েকে।

পরিবারের দাবি, রবিবার রাতেই সানোয়ারাকে খুন করে মাটি চাপা দিয়ে দেওয়া হয়৷ মৃতের বাপের বাড়ির লোকেরা খোঁজ খবর শুরু করতেই সেই মৃতদেহ তুলে নাগর নদীতে ফেলা হয়। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে যায় করণদিঘি ও রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।

গৃহবধূর মৃতদেহ স্থানীয় নাগর নদীতে শ্বশুরবাড়ির পাশেই ভাসতে দেখে স্থানীয় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। মৃত গৃহবধূর দেহ পাঁচ দিনের পর নদীর স্রোতে দূরে কোথাও ভেসে না গিয়ে বাড়ির পাশেই নদীতে কি করে ভেসে উঠলো তা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

মৃত গৃহবধূ সানোয়ারা খাতুনের শ্বশুরবাড়ি নাগর নদীর তীরে করণদিঘি থানার রাঘবপুরে৷ বাপের বাড়ি নাগর নদীর অপর তীরে রায়গঞ্জ থানার জগদীশপুর অঞ্চলে। ঘটনার জেরে স্বামী সইবুর আলি ও শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য লোকেরা পলাতক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে করণদিঘি থানার পুলিশ।-কলকাতা২৪



মন্তব্য চালু নেই