কালীগঞ্জে গ্রাম বাংলার যাত্রার প্যান্ডেলে উপচে পড়া ভিড়

পুতুল নাচ,পালাগান, নৌকাবাইচ,লাঠি খেলাসহ গ্রাম বাংলার লোকজ উৎসব মাতিয়ে রাখত গোটা লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় । এখন আর এসব চোখেই পড়ে না।

এক সময় কালীগঞ্জে ১৯৭৭-৮৮ সালে শাপলা শালুকের আয়োজনে যাত্রা আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল সদস্যরা । যাত্রার প্যান্ডেলে উপচে পড়ত দর্শকশ্রোতা। মঞ্চের দুই দিক ঘিরে বসে যন্ত্রীদল বাজনা বাজিয়ে যাত্রার প্রারম্ভ ঘোষণা করতেন, তখন বৃদ্ধ, প্রৌঢ়,যুবক,শিশু-কিশোর ও মহিলারা স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকত মঞ্চের দিকে। যাত্রার মঞ্চে অভিনেতা-অভিনেত্রীর অভিনয় দেখে দর্শকরা মুগ্ধ হতো। করতালিতে রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে মুখর হতো যাত্রার প্যান্ডেল।

ঈদ বা বৈশাখ এলেই এক সময় জেলায় গ্রামবাংলা মুখর হয়ে উঠত যাত্রার সংলাপে। গ্রামের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ছুটে বেড়াত যাত্রার সংলাপ। আজ যাত্রার সেই ঐতিহ্য হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম।

হারিয়ে যেতে বসা সেই যাত্রাশিল্পকে গ্রামের মানুষের কাছে তুলে ধরতে কালীগঞ্জের হয়ে গেল গ্রাম বাংলার যাত্রাপালা “কলকিনি বুধু”। তুষভান্ডার শাপলা শালুকের সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বাবু পরিচালনায়, উপজেলা প্রশাসন গোলাম রাব্বির আয়োজনে।

Kaligonj jatra Photo 1

বাংলা নববর্ষ ১৪২২ উপলক্ষে বুধবার (১৫এপ্রিল) রাতে ১১টার দিকে তুষভান্ডার হাই স্কুল মাঠে সাংস্কৃতিক সংগঠন শাপলা শালুকের পরিবেশোনায় গ্রাম বাংলার যাত্রাপালা অনষ্ঠিত হয়। বিভিন্নস্থান থেকে আসা মহিলা ও পুরুষসহ ছিল শিশু কিশোর।

যাত্রাপালার আগে বিকাল ৩টা দিকে অনুষ্ঠিত হয় হাড্ডি প্রতিযোগিতা,ঘুড়ি খেলা,চেংটুপেন্টু,পান্তাভোজ এসব প্রতিযোগিদের হাতে পুরুস্কার তুলে দেন, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম রাব্বি,উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) আসাদুজ্জামান,কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত(ওসি) মঞ্জুরুল রহমান,তুষভান্ডার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর ইসলামসহ বিভিন্ন অঙ্গসংঠনের ব্যাক্তি বর্গ।



মন্তব্য চালু নেই