কারিনা সন্তানের জন্ম দিক তা কি চাননি সাইফ? কী বলছেন খোদ ছোটে নবাব?
প্রথম যখন সইফ আলি খান পিতৃত্বের অনুভূতি পেয়েছিলেন তখন তিনি বছর ২৩-এর। আর তাঁর দ্বিতীয় সন্তান যখন জন্মেছিল তখন সইফ আলি খানের বয়স ৩০। কিন্তু, ১৬ বছর পর ফের পিতৃত্বের অনুভূতি তাঁকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেনি তো? কারণ, সইফ আলি খান এখন প্রায় ৫০-এর দোরগোড়ায়। সুতরাং, এই বয়সে একদম দুধের শিশুকে বড় করে তোলার পিছনে হাজারো সমস্যা রয়েছে।
বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত নায়ক সইফ। তাঁর স্ত্রী করিনা কপূরও বলিউডের অন্যতম শীর্ষ নায়িকা। ফলে, বয়স এবং কর্মব্যস্ততার দিক থেকে দেখতে গেলে সইফ-এর পক্ষে সময় একটা বড় ফ্যাক্টর।
ছোট ছেলে তৈমুর আলি খান-এর জন্মের পর অবশ্য এই নিয়ে মুখ খুলেছেন সইফ আলি খান। অনলাইনে প্রকাশ হওয়া এক বিবৃতিতে সইফ জানিয়েছেন, এই বয়সে তিনি নতুন করে সন্তানের পিতা হতে পেরে গর্বিত। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ৪০ বছর বয়সের জন্মদিনে বাবা বড় নবাব মনসুর আলি খান পতৌদির কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছিলেন। এই চিঠিতে মনসুর আলি খান পতৌদি নাকি সইফকে লিখেছিলেন, ইসলামের আসল সত্যটা নাকি ৪০ বছর বয়সেই বুঝতে পেরেছিলেন মহম্মদ। তাই সইফ মনে করেন, চল্লিশোর্ধ্ব বয়স যে কোনও মানুষের জীবনের আসল সময়। তাই এই বয়সে নতুন করে নবজাতকের পিতা হওয়াটা এক গর্বের বিষয়। সইফ তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সারা যখন জন্মেছিল তখন আমার বয়স অতি কম। আবার ইব্রাহিমের জন্মের সময় তখন তাঁর বয়স আরএকটু বেশি ছিল। সারা, ইব্রাহিমকে জীবনের মহামূল্যবান সারকথাগুলো শিখিয়েই বড় করা হয়েছে। তাদের বোঝানো হয়েছে ভারতীয় মূল্যবোধের কথা। পড়ানো হয়েছে রামায়ণ, মহাভারতের কাহিনি। বলা হয়েছে ইলিয়াস, ওডিসির কথা। তৈমুরকেও ঠিক এভাবেই তিনি পায়ে পায়ে বড় মহিরূহে পরিণত করতে চান বলেই জানিয়েছেন সইফ। তৈমুর যদি এসব নাও জানতে চায় তাহলে তার উপরে কোনভাবেই তিনি বা করিনা কেউ জোর প্রয়োগ করবে না বলেও জানিয়েছেন সইফ।
সইফ আরও জানিয়ে লিখেছেন, তিনি বোঝেন পিতা হওয়া মানে বাড়িতে রাত জাগতে হবে। স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে সন্তানের সমস্তকিছুতে নজর রাখতে হবে। সইফ নাকি এই বয়সে এসবের জন্য তৈরি। এই নিয়ে তাঁর কোনও মানসিক চাপ নেই বলেই জানিয়েছেন সইফ। তাই তৈমুরের জন্মকে তিনি উপভোগ করছেন বলেই বিবৃতিতে লিখেছেন সইফ আলি খান। পাশাপাশি, তাঁকে নতুন করে পিতৃত্বের স্বাদ দেওয়ার জন্য করিনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মন্তব্য চালু নেই