কারাগারে বাসার মতো ভালো থাকা যায় না : আরাফাত সানি

কারাগারে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানি বলেছেন, বাসা ও কারাগার অনেক ভিন্ন। এখানে বাসার মতো ভালো থাকা যায় না। তবে সব মিলে অনেক ভালো আছি।

রোববার তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় হাজিরা শেষে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত থেকে প্রিজনভ্যানে কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয় আরাফাত সানিকে। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সানি বলেন, আমি কারাগারে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছি। স্বাভাবিক জীবন-যাপন করছি। নিয়মিত তিন বেলা খাবার খাচ্ছি। কারাগারে আমার কোনো সমস্য হচ্ছে না। কারাগারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনেক ভালো মানুষ। আমি সেখানে ভালোই আছি।

সানি আরও বলেন, আমি মামলা নিয়ে তেমন কোনো চিন্তা করি না। জামিনে বের হওয়ার পর চিন্তা করবো কী করা যায় মামলা নিয়ে।

এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম লস্কর সোহেল রানা প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ মার্চ দিন ধার্য করেন।

আরাফাত সানিকে কারাগার থেকে আদালতের হাজতখানায় হাজির করা হয়। তবে তার বিরুদ্ধে অন্য কোনো আবেদন না থাকায় তাকে আজ আদালতে উঠানো হয়নি।

জানা গেছে, প্রথমে আরাফাত সানিকে কারাগারের যমুনা সেল থেকে শাপলা সেলে নেয়া হয়, এরপর শাপলা সেল থেকে তাকে সূর্যমুখী সেলে নেয়া হয়।

গত ২২ জানুয়ারি রাজধানীর আমিনবাজার এলাকা থেকে আরাফাত সানিকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। একদিনের রিমান্ড শেষে ২৪ জানুয়ারি জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার সিএমএম আদালত। বর্তমানে তিনি কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সূর্যমুখী সেলে রয়েছেন।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর আরাফাত সানির সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ে হয়। গত বছরের ১২ জুন আরাফাত সানি দুজনের কিছু ব্যক্তিগত ও ওই তরুণীর কিছু আপত্তিকর ছবি ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে পাঠান।

ছবি পাঠিয়ে আরাফাত সানি ওই তরুণীকে হুমকি দেন। পরে আবার ২৫ নভেম্বর ওই তরুণীকে আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে হুমকি দেন আরাফাত সানি। এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে ৫ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করেন।



মন্তব্য চালু নেই