কামারখন্দে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যা

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে জেসমিন আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করেছে তার স্বামী মোহাম্মদ আলী।

তিনি কামারখন্দ উপজেলার ঝাঐল ইউনিয়নের পাইকোশা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী ও পাবনা জেলার মনজুর সরকারের মেয়ে।

এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের শ্বশুর আব্দুল কুদ্দুস ও শাশুড়ি বিলকিস বেগমকে আটক করেছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে।

রোববার দুপুর দেড়টায় পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় জেসমিনের। বিয়ের পর থেকেই মোহাম্মদ আলী যৌতুকের দাবি করে আসছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলোহ লেগেই থাকতো।

এরই জের ধরে শনিবার রাতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জেসমিনকে হত্যা করে ঘরের মধ্যে মৃতদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালায় মোহাম্মদ আলী।

খবর পেয়ে পুলিশ রোববার দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এসময় তার শ্বশুর ও শাশুড়িকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

নিহতের বাবা মনজুর সরকার জানান, যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে প্রায়ই নির্যাতন করা হতো। শনিবার রাতে এই নিয়ে তাদের মধ্যে পুনরায় কথা কাটাকাটি হয়। পরে জেসমিনকে হত্যা করে মৃতদেহ ঘরের মধ্যে ঝুলিয়ে রাখে স্বামী ও তার পরিবার।

কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল উদ্দিন সরকার বলেন, নিহতের পরিবারের অভিযোগ তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। তার গলার নিচে কালো দাগ রয়েছে। তবে এটি হত্যা না কী আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের প্রতিবদেন না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।



মন্তব্য চালু নেই