কান্না চেপে রাখবেন না

দুঃখ-কষ্ট পেলে মানুষ কাঁদে। অন্যের কান্না দেখলেও অনেক সময় কান্না আসে। আবার অনেক ক্ষেত্রে সুখের সময়ও মানুষ কাঁদে। যেভাবেই কাঁদুক, এই কান্না শরীরের জন্য ভালো। কারণ কান্নায় শরীর সুস্থ ও সতেজ থাকে। এবার জেনে নিন কান্নার কয়েকটি উপকারিতা-

স্ট্রেস এবং টেনশন দূর করে

চোখের পানির সঙ্গে আমাদের শরীরের ইমোশান হরমোন ও ট্রেস সৃষ্টিকারী টক্সিন বেরিয়ে যায়। কান্না স্ট্রেস, টেনশন দূর করে মন ভালো করে দিয়ে থাকে। ডা. ফ্রে’র মতে “আমরা সাধারণত বড়দের কাঁদতে নিষেধ করে থাকি, কিন্তু এটি আমাদের করা উচিত নয়। কারণ এটি স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। আর স্ট্রেস আমাদের হার্ট, মস্তিষ্কের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।”

রক্তচাপ কমায়

আগেই বলা হয়েছে, স্ট্রেস আমাদের হার্ট, মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব ফেলে। আর কান্না মাধ্যমে ট্রেস হরমোন শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে টেনশনে কমে ও হাইপার টেনশন হয় না।

ব্যাকটেরিয়া দূর করে

চোখের জলে লাইসোজোম নামক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান আছে যা চোখের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দিয়ে থাকে মাত্র পাঁচ মিনিটে! তাই পারলে রোজ একটু কান্না করুন। এছাড়া চোখের জলে রয়েছে সালফিউরিক যা চোখ পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে।

মন ভালো করতে

কান্না মনের কষ্ট দূর করে মন হালকা করে থাকে। আবেগপ্রবণ কান্নাতে এনডোরফিন নামক উপাদান নিঃসৃত হয় যা দুশ্চিন্তা দূর করে থাকে। তাই মন খারাপের সময় কাঁদুন, দেখবেন মন অনেকখানি ভালো হয়ে গেছে। তাই মনে সুস্থ রাখতে কান্নাকে চেপে না রেখে, কেঁদে ফেলুন।



মন্তব্য চালু নেই