কাদের প্রেম টিকে বেশিদিন?
অনেকেই প্রেম করেন। আবার আমরা অনেক জুটিই দেখি। কখনো কখনো প্রেমে ব্রেকআপ হয়, এমন কথাও শুনি হরহামেশা। কিন্তু কেন হয় এমন? অথবা কোন জুটি শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে?
একটু খেয়াল করলে দেখতে পাবেন, কিছু জুটি আছেন যারা অপ্লতেই কথা কাটাকাটি ঝগড়া বাধিয়ে বসেন। কিছু আছেন, যারা নিজের নিজের ফোন নিয়ে ব্যস্ত। হয়তো দু’জনেই স্ট্যাটাস আপডেট দিতে ব্যস্ত। ধরন তো অনেক রকমেরই রয়েছে, কিন্তু এদের ভালোবাসার মেয়াদ কতটা? প্রশ্নটা জটিল। তবে জটিল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে একটি গবেষণা। সেই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মোট চার ধরনের জুটি রয়েছে। কিন্তু সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদি হয় মাত্র এক ধরনের জুটির। তাহলে আসুন জানার চেষ্টা করি কোন ধরণের সেই জুটি?
ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনোইস-এর অধ্যাপক ব্রায়ান ওগোলস্কি প্রায় ৯ মাস ধরে ৩৭৬ টি কাপলের ওপর এই গবেষণা চালিয়েছেন। এদের প্রত্যেকের বয়স ২৫ থেকে ৩০-এর মধ্যে।
গবেষণায়ওগোলস্কি জানিয়েছেন, জুটিদের ৪টি বিভাগে ভাগ করা যায়। ড্রামাটিক বা নাটকীয়, কনফ্লিক্ট রিডেন বা সর্বদা মনোমালিন্য লেগে থাকে এমন, সোশালি ইনভ্লভড্ বা সোশাল নেটওয়ার্কিংয়ে খুব অ্যাক্টিভ এবং পার্টনার ফোকাসড বা সঙ্গীকেই সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেন যারা।
দেখা গিয়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশ কাপলই ড্রামাটিক বা নাটকীয় জুটিদের মধ্যে পড়েন। এরা একে অপরের সঙ্গে কম সময় কাটান এবং সম্পর্কে টানাপোড়েন থাকে। এর পরেই রয়েছে পার্টনার ফোকাসড্ জুটি। এদের সংখ্যা প্রায় ৩০ শতাংশ। এদের কাছে সঙ্গীর গুরুত্ব সব থেকে বেশি এবং তারা অকে অপরের সঙ্গে বেশ খানিকটা সময় কাটান। এর পরে রয়েছেন সোশালি ইনভল্ভড্ জুটিরা। এদের সংখ্যা প্রায় ১৯ শতাংশ। বাকি ১৭ শতাংশ রয়েছেন কনফ্লিকট রিডেন।
এদের মধ্যে কাদের সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয় জানেন? উত্তরটা দিয়েছেন ওগোলস্কি নিজেই। তিনি জানাচ্ছেন, ৯ মাসের মধ্যে ড্রামাটিক বা নাটকীয় কাপলরা ইতিমধ্যেই ব্রেক-আপ হয়েছে যায় নানা কারণে। সময়ের অভাব এবং ক্রমাগত উত্থান-পতনে সম্পর্কের ভিত আলগা হয়ে যায়। সোশালি যারা বেশি সক্রিয় তাদের মধ্যে কমিটমেন্ট বা অঙ্গীকারের অভাব দেখা যায়। ফলে একটা সময়ের পর এরাও আলাদা হয়েই যান। কমফ্লিক্ট রিডেন জুটিদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এদের মধ্যে স্বভাবগত পার্থক্য থেকেই যায়। যার ফলে ঝগড়া হওয়াটা একেবারে পানিভাত ব্যাপার। স্থান-কাল-পাত্র কোনও কিছুই না দেখে যে কোনও জায়গায় এরা শুরু হয়ে যান। একমাত্র পার্টনার ফোকাসড কাপলরা দীর্ঘ মেয়াদ সম্পর্কের পথে হাঁটেন।
কারণটাও খুবই স্বাভাবিক। বাকি তিন ধরনের জুটিদের ক্ষেত্রে সম্পর্কে টানাপোড়েন এবং কমিটমেন্টের অভাবের মতো বিষয় কাজ করে। সেখানে পার্টনার ফোকাসড জুটিদের ক্ষেত্রে তারা একে অপরকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। ফলে তাদের মধ্যে খুব ভালো বোঝাপড়া গড়ে ওঠে।
মন্তব্য চালু নেই