কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যা বলেছিলেন সালমান খান

রিল লাইফের সংলাপ রিয়েল লাইফে বদলে গেল কান্নায়। রুপালি পর্দায় কারাদণ্ডের রায় শুনে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘হমারি পুলিশ হামেশাই লেট আতি হ্যায় অউর গলত ইনসান কো হি অ্যারেস্ট করতি হ্যায়’।

‘কিক’ সিনেমার ওই দৃশ্যে বলিউডের ম্যাচো হিরোর সংলাপ শুনে হাততালি দিয়েছেন গুণমুগ্ধরা। কিন্ত হিট অ্যান্ড রান মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলেন না তিনি।

কান্নায় ভেঙে পড়লেন। রুপালি পর্দার হুঙ্কার বাস্তব জীবনে অশ্রু হয়ে ঝরে পড়ল। করতালির পরিবর্তে অনুরাগীদের বুক ভারী হয়ে গেল প্রিয় নায়কের সাজা ঘোষণায়।

রুপালি পর্দায় তাকে সর্বদাই দুষ্টের দমনকারী ও শিষ্টের ত্রাতা হিসেবেই পাওয়া গেছে। কিন্তু বাস্তব জীবনে আইন ভেঙে সাজা পেলেন তিনি। ২০০২-এর গাড়িচাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে ৪৯ বছরের এই অভিনেতার। তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগই প্রমাণ হয়েছে।

‘গর্ব’, ‘ওয়ান্টেড’ এবং ‘দাবাং’-এর মতো সিনেমায় পুলিশের ভূমিকায় এবং ‘জয় হো’, ‘কিক’-এর মতো সিনেমায় দুষ্টের দমনকারী হিসেবেই তাকে দেখা গেছে। তার জনপ্রিয়তা আকাশ ছুঁয়েছে। প্রেমিকের ভূমিকাই হোক বা অ্যাকশন হিরো- সালমানের জনপ্রিয়তা নজর কেড়েছে সবারই।

কিন্তু রিল লাইফের ভাবমূর্তি বাস্তব জীবনে আছড়ে পড়ল এদিনের রায়ে।
সালমানের সাজায় স্বাভাবিকভাবে দুশ্চিন্তা বাড়লো বলিউডেরও। এরই মধ্যে তার পেছনে লগ্নি হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। বজরঙ্গি ভাইজান এবং প্রেম রতন ধ্যান পায়ো’র মতো সিনেমা এখনো শ্যুটিংয়ের পর্যায়ে রয়েছে।

শুধু হিট অ্যান্ড রান মামলাই নয় আরো একটি মামলায় সালমানের মাথায়। ১৯৯৮-এ হাম সাথ সাথ হ্যায় সিনেমার শ্যুটিং চলাকালে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে মামলা চলছে রাজস্থানের আদালতে।



মন্তব্য চালু নেই