কাটাখালী পৌরসভা : মেয়র কারাগারে, কর্মচারীদের বেতন বন্ধ আড়াই বছর
রাজশাহী : রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র নাশকতার মামলায় ৫ মাস থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি। মেয়রের অনুপস্থিতির কারণে পৌরসভার নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পৌরবাসি। বন্ধ হয়ে গেছে এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রম। কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হয়ে আছে আড়াই বছর।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মেয়র জেলখানায় বন্দি থাকায় এলাকার রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। মশক নিয়ন্ত্রণে নেই কোনো কার্যক্রম। ফলে উৎপাত বেড়ে গেছে মশার। এছাড়া এলাকায় একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় অল্পতেই রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়ে যায়।
এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে এলাকার জনগণের মধ্যে। এছাড়া ওয়ার্ডের ৯ জন কাউন্সিলর ও ৩ জন নারী কাউন্সিলরসহ পৌরসভার ২৫ জন কর্মচারী দীর্ঘ ২ বছর ৬ মাস থেকে বেতন পান নি। এ নিয়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে কর্মচারীদের মধ্যে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের ঠিকাদারি টাকাও বকেয়া পড়ে আছে।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের কাটাখালী পৌরসভার নির্বাচন হয়। কাটাখালী পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ড। তখন মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন মাজেদুর রহমান। তিনি বিভিন্ন নাশকতার মামলায় ৫ মাস ধরে জেলখানায় আটক আছেন। তার অবর্তমানে পৌরসভার কার্যক্রম চালাচ্ছেন প্যানেল মেয়র-১ আবদুল মুক্তাদির।
কাটাখালী পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ আবদুল মুক্তাদির বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে কাজ করছি। কিন্তু পৌরসভার কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ আমাকে দিয়ে করানো হয় না। বর্তমান মেয়র কারাগারে যাবার পর থেকে পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের কার্মচারীদের ৩০ মাসের বেতন ভাতা বন্ধ আছে। অনেক ঠিকাদারের পাওনা টাকা বাকি আছে।
তিনি আরো বলেন, আমার কাছে প্রশাসনিক ক্ষমতা না থাকায় ঠিকাদারের পাওনা টাকা দিতে পারছি না। এলাকার উন্নয়নের জন্য এলজিআরডির কাছে কাজের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পৌরসভার উন্নয়নের জন্য উপর মহলে দেনদরবার করছি। যাতে পৌরসভার উন্নয়নের কার্যক্রমকে গতিশীল করা যায়।’ বর্তমানে পৌরসভায় শুধু জন্ম নিবন্ধন, নাগরিকতার সার্টিফিকেট, উত্তরাধিকারের সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ভাতা প্রদান করা হয় বলে জানান তিনি।
মতিহার থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আবদুর রউফ বলেন, পৌর মেয়র মাজেদুর রহমানের বিরুদ্ধে নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। কাটাখালী এলাকাসহ আশেপাশের এলাকায় বিভিন্ন সময়ে নাশকতা সংঘটিত করার মামলায় তাকে আটক করা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে গাড়ি পোড়ানো, আইনবিরোধী কাজে মদদদাতা হিসেবে তার নামে মামলা আছে।
মন্তব্য চালু নেই