কাটছেই না অপু বিশ্বাসের আড়াল হওয়ার রহস্য
মার্চ মাস থেকে আড়ালে আছেন অপু বিশ্বাস। বিভিন্ন সময় নিজের আড়াল হওয়ার কারণ জানালেও আত্মপ্রকাশ ঘটছে না তার। অপুর কারণে থমকে আছে ৫টি ছবির নির্মাণ কাজ। লোকসান গুনতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট নির্মাতাদের। এতে ক্ষুব্ধ সিনিয়র নির্মাতারা।
আজিজুর রহমান : চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের পেশাদারি মনোভাব থাকতে হবে। শিল্পীদের ক্ষেত্রে পেশাদারিত্বের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে সিনসিয়ারিটি। অপু দীর্ঘদিন আড়াল থেকে পেশাদারিত্ব ও সিনসিয়ারিটিহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। যা গ্রহণযোগ্য নয়। তার কারণে যেসব নির্মাতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাদের ক্ষতিপূরণ কে দেবে? এক সময় শাবনূরসহ অনেকেই এভাবে নির্মাতাদের ভুগিয়েছে। এর জন্য দায়ী প্রযোজকরা। তারা শিল্পীদের নানাভাবে প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন। ফলে শিল্পীরা স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠে। অপু যেন সহসা ছবির কাজ শেষ করে দিয়ে দায়িত্ব জ্ঞানের পরিচয় দেয় এটাই কাম্য।
কাজী হায়াৎ : তৃতীয় প্রজন্মের বেশকিছু ছেলেমেয়ে চলচ্চিত্রে এসে স্টার হয়েছে, কিন্তু শিল্পী হতে পারেনি। কারণ তাদের আচরণ শিল্পীসুলভ নয়। তারা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পেয়ে গেছে। তাদের ভাবনা শিল্পকে কিছু দেওয়া নয়, শুধুই লুটেপুটে খাওয়া। একজন প্রকৃত শিল্পীকে নিয়ে কাজ করলে নির্মাতা জানেন কখন সেই ছবির কাজ শেষ হবে। আর এ ধরনের শিল্পীর কারণে অনিশ্চয়তায় পড়তে হয়। এরা চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে এ জগতে আসেনি। নিজের স্বার্থ নিয়েই ব্যস্ত। তাদের এই পেশাদারিত্বহীনতার কারণে চলচ্চিত্রশিল্প আজ পুঁজি সংকটে পড়েছে। একেবারেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে শিল্পটি।
এফ আই মানিক : অপু একজন নিয়মিত প্রতিষ্ঠিত শিল্পী। শিল্পী সমিতি ও যেসব প্রযোজকের ছবিতে কাজ করছে তাদের দায়িত্ব তাকে খুঁজে বের করা। না পারলে প্রশাসনকে জানানো দরকার। একজন শিল্পী এভাবে নিখোঁজ থাকবে আর সবাই আলোচনা করে সময় নষ্ট করবে তা হতে পারে না। শাকিবেরও দায়িত্ব রয়েছে তার সন্ধান দেওয়ার। কারণ শাকিব শিল্পী সমিতির সভাপতি ও অপুর স্বঘোষিত অভিভাবক।
ছটকু আহমেদ : অপুকে বলব নিজের প্রেম নয়, চলচ্চিত্রের প্রেমকে বড় করে দেখার চেষ্টা কর। আজ তুমি অপু বিশ্বাস হয়েছ চলচ্চিত্রেরই জন্য। শাকিবের জন্যও আমার একই কথা। কোনো মানুষই ব্যক্তিগত সমস্যার ঊর্ধ্বে নয়। তাই বলে পেশার ক্ষতি করবে কেন? চলচ্চিত্রের মতো একটি জাতীয় শিল্প তোমাদের খেয়ালখুশির জন্য ধ্বংস হয়ে যাবে এটি দেশের মানুষ কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
মনতাজুর রহমান আকবর : অপু আর শাকিবের স্বেচ্ছাচারিতার জন্য দায়ী প্রযোজকরা। কারণ তারাই শিল্পীদের প্রশ্রয় দেন। একটি ছবি হিট হলে প্রযোজকরা নির্মাতার পেছনে না ছুটে ওই ছবির শিল্পীর পেছনে ছোটেন। ছবি সফল হয় নির্মাতার গুণে। প্রযোজকের প্রশ্রয়ের কারণে অপু-শাকিবের পারিশ্রমিক দফায় দফায় বেড়েছে। ছবি রানিং রেখে আজ তারা ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে নির্মাতাকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দিয়েছে। প্রযোজক ও শিল্পী সমিতির কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। যেহেতু শাকিবের পীড়াপীড়িতে ছবিতে অপুকে নিতে হয় তাই এখন শাকিবের উচিত অপুকে এনে ছবিগুলোর কাজ শেষ করে দেওয়া।
বদিউল আলম খোকন : অপু সিনসিয়ারিটির পরিচয় দিচ্ছে না। যে প্রযোজকদের ছবি অসমাপ্ত রেখে অপু আড়াল হয়েছে তাদের উচিত তাকে খুঁজে বের করা। অপুর উচিত নির্মাতাদের কাছে কাজে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করা। শাকিব খানের প্রেসারে নির্মাতারা অপুকে কাজে নেন। তাই অপুকে খুঁজে এনে কাজ শেষ করানো তার দায়িত্ব। শাকিব বলেছে ‘অপু মারা গেলে কি এসব ছবির কাজ শেষ হবে না?’ তার মুখে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা মানায় না। অপুর এমন অপেশাদারিত্ব আচরণও দুঃখজনক। – বিডি প্রতিদিন
মন্তব্য চালু নেই