কাজের জন্য সেরা ১০ প্রতিষ্ঠান

কোনো কর্মী যখন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতি তার একটি দায়বদ্ধতা তৈরি হয়। একইরকমভাবে কর্মীদের ভালো-মন্দ, সুবিধা-অসুবিধা ইত্যাদির দিকে সুনজর দেয়া প্রতিষ্ঠানেরও দায়িত্ব। আরামদায়ক ও উন্নত কর্মপরিবেশ না থাকলে প্রতিষ্ঠান কর্মীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চটুকু আদায় করতে পারে না। ভালো বেতন, বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ, সঠিক মূল্যায়ন ইত্যাদি হিসেবে বর্তমান সময়ে কাজের জন্য যে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে সবচেয়ে এগিয়ে রাখা যায় পাঠকদের জন্য তার একটি তালিকা দেয়া হলো।file (9) কাজের জন্য সেরা ১০ প্রতিষ্ঠান

১০. মায়ো ক্লিনিক
গড় রেটিং: ৪.২

সদর দপ্তর: রচেস্টার, যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের রচেস্টারভিত্তিক একটি অলাভজনক সংস্থা মায়ো ক্লিনিক। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৮৯ সালে। এখানে ৩ হাজার ৮শ-এর বেশি চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানী কাজ করেন। এছাড়াও ৫০ হাজার ৯শ স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। বিপুল সংখ্যা কর্মী থাকা সত্ত্বেও মায়ো ক্লিনিকের উন্নত কর্মপরিবেশের কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে কাজের জন্য বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্ষেত্র বলে মনে করা হয়।


file (8) কাজের জন্য সেরা ১০ প্রতিষ্ঠান ৯. ম্যাককিনসে অ্যান্ড কোম্পানি
গড় রেটিং: ৪.২
সদর দপ্তর: নিউ ইয়র্ক

ম্যাককিনসে অ্যান্ড কোম্পানি একটি মার্কিন পরামর্শক ফার্ম। ১৯২৬ সালে জেমস ম্যাককিনসে কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন। সারা বিশ্বে এ প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় ১৭ হাজার কর্মী কাজ করেন।


৮. ইন-এন-আউট বার্গারfile (7) কাজের জন্য সেরা ১০ প্রতিষ্ঠান
গড় রেটিং: ৪.২
সদর দপ্তর: ইরভাইন, ক্যালিফোর্নিয়া

ইন-এন-আউট বার্গার যাত্রা শুরু করে ১৯৪৮ সালে। এর প্রতিষ্ঠাতার নাম হ্যারি স্নাইডার। এ প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মচারীর মুখে এর কর্মপরিবেশ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক- ‘ভালো বেতন, কর্মঘণ্টা সুবিধাজনক, আরামদায়ক কর্মপরিবেশ, প্রচুর সুবিধা, অনেক সুযোগ, ভালো সহকর্মী। সবমিলিয়ে এখানে কাজ করতে পেরে আমি খুব খুশি।’


৭. এইচ-ই-বিfile (6) কাজের জন্য সেরা ১০ প্রতিষ্ঠান
গড় রেটিং: ৪.২
সদর দপ্তর: স্যান অ্যান্টোনিও

এইচ-ই-বি স্যান অ্যান্টোনিও ভিত্তিক একটি সুপারশপ। পুরো যুক্তরাষ্ট্রে এদের ৩৫০টির বেশি শাখা রয়েছে। চলতি বছরে ফোর্বসের হিসাবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের ১৫তম বৃহত্তম বেসরকারি কোম্পানি। ১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কোম্পানিটিতে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ কাজ করেন।


৬. শেভরন file (5) কাজের জন্য সেরা ১০ প্রতিষ্ঠান
গড় রেটিং: ৪.২
সদর দপ্তর: স্যান র‌্যামোন, ক্যালিফোর্নিয়া

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন। ১৮৭৯ সালে এটি প্যাসিফিক কোস্ট অয়েল কোম্পানি নামে যাত্রা শুরু করে। পরে ১৯৮৪ সালে এর নাম হয় শেভরন করপোরেশন। পৃথিবীর ১৮০টিরও বেশি দেশে শেভরন সক্রিয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের হিসাবে এ প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মীর সংখ্যা ৬৪ হাজার ৬শ।


file (4) কাজের জন্য সেরা ১০ প্রতিষ্ঠান৫. দ্য বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ
গড় রেটিং: ৪.৩
সদর দপ্তর: বোস্টন

পৃথিবীর ৪৫টি দেশে ৮৭টি দপ্তর রয়েছে এ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটির। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৩ সালে। ২০১৩ সালে দ্য বোস্টন অ্যান্ড কোম্পানির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩.৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

file (3) কাজের জন্য সেরা ১০ প্রতিষ্ঠান


৪. এফফাইভ নেটওয়ার্কস
গড় রেটিং: ৪.৩
সদর দপ্তর: সিয়েটল

এফফাইভ নেটওয়ার্কস একটি প্রযুক্তিবিষয়ক কোম্পানি। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কোম্পানিটির কর্মী সংখ্যা ২ হাজার ৬১৫ (২০১২)। সেখানে কর্মরত একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের ভাষায়, এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সবাই বোঝেন যে তারা একই নৌকায় আছেন এবং সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই তা এগিয়ে যাবে।’


file (2) কাজের জন্য সেরা ১০ প্রতিষ্ঠান৩. নেসলে পুরিনা পেটকেয়ার
গড় রেটিং: ৪.৪
সদর দপ্তর: সেন্ট লুইস

এটি মূলত একটি পশুখাদ্য উৎপাদক প্রতিষ্ঠান। ২০০১ সালে নেসলের ফ্রাইস্কাইস পেটকেয়ার কোম্পানি ও র‌্যালস্টন পুরিনার সমন্বয়ে যাত্রা শুরু করে এ প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন প্রকৌশলী প্রতিষ্ঠানটিকে বলছেন অদ্বিতীয়। কারণ হিসাবে তিনি দেখাচ্ছেন, সেখানকার কাজের সংস্কৃতি। সহকর্মীদের প্রশংসা করতেও ভোলেননি তিনি।


২. বেইন অ্যান্ড কোম্পানিfile (1) কাজের জন্য সেরা ১০ প্রতিষ্ঠান
গড় রেটিং: ৪.৪
সদর দপ্তর: বোস্টন

এটিও একটি মার্কিন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। পৃথিবীর ৩৩টি দেশে ৫১টি অফিস রয়েছে বেইন অ্যান্ড কোম্পানির। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানিতে ৫ হাজার ৪শ কর্মী রয়েছেন। এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন পরামর্শক বলছেন, ‘এখানে যারা কাজ করেন তারা আসলেই অনেক পরিশ্রম করেন। সেই সঙ্গে নিজের কাজটা উপভোগও করেন তারা।


file কাজের জন্য সেরা ১০ প্রতিষ্ঠান১. গুগল
গড় রেটিং: ৪.৫
সদর দপ্তর: মাউন্টেন ভিউ, ক্যালিফোর্নিয়া

কর্মীদের অসাধারণ সব সুযোগ-সুবিধা, আকর্ষণীয় বেতন আর লোভনীয় কর্মপরিবেশের জন্য গুগলের সুখ্যাতি বেশ পুরোনো। আধুনিক বিশ্বে গুগলকে কারো সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ, নিজের যোগ্যতাতে গুগল এমন একটা অবস্থানে পৌঁছেছে যে এই প্রতিষ্ঠানের নাম শোনেনি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া এখন রীতিমতো দুষ্কর।



মন্তব্য চালু নেই