কাজেও ফিট থাকতে…

যারা ডেস্ক জব করেন তাদের ফিট থাকাটা একটা চ্যালেঞ্জ। অল্পতেই মুটিয়ে যান, ওজন সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে হয়তো ওজন কমাতে ব্যায়াম করতে হয়। এর জন্য আলাদা সময় বের করতে জীবন অতিষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু চাইলে অফিসেই এই ওজন নিয়ন্ত্রণের কাজটা করে ফেলতে পারেন। এর জন্য একটু কাজের ক্ষতি করতে হবে না!

প্রচণ্ড কাজের চাপে মাথা গুলিয়ে যেতে পারে। অথবা মানসিক উত্তেজনা বেড়ে যেতে পারে। এটা কমাতে কিছুক্ষণ ধ্যান করতে পারে। অফিসে একটু নিরিবিলি জায়গা খুঁজে নিন, পাঁচ মিনিট চোখ বন্ধ করে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। প্রতিদিন এই অভ্যাসটা করুন। অনেকখানি রিলাক্স ফিল করবেন, অনেক রোগের হাত থেকেও নিষ্কৃতি মিলবে।

সেলফি তুলুন-
টিপসটা শুনে ফাজলামি মনে হতে পারে। কিন্তু না, একবার করেই দেখুন কেমন হালকা বোধ হবে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, প্রতিদিন নিজের ছবি তুলে নিজে নিজে দেখা মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। পারলে লাঞ্চের পর একটা সেলফি তুলে দেখুন। এতে বুঝবেন মোটা হচ্ছেন কি না। সেই অনুসারে ব্যায়াম করারও আগ্রহটা জন্মাবে। তাছাড়া, এটা এক ধরনের মজা, সুতরাং মন ভালো হয়ে যাবে।

আড়মোড়া ভাঙা-
চেয়ারে অনেক্ষণ বসে কাজ করছেন, এক ফাঁকে দুই হাত উপরের দিকে প্রসারিত করে আড়মোড়া ভাঙ্গুন। শব্দ করবেন না কিন্তু। তাহলে অন্যদের সমস্যা হবে। চেয়ারে বসেই হাত, পা, কোমর ও মাথা স্ট্রেচ করুন। দিনে ২-৩ বার করুন। আপনিই টের পাবেন এর উপকার।

একটু হাঁটুন-
খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে বা পরে কিছুটা হাঁটুন। এতে ওজন কমানো খুব সহজ হবে। বন্ধুদের সঙ্গে বা একাও হাঁটতে পারেন। অফিস ছাড়ার আগে অন্তত একবার হাঁটুন।

সবুজ চা-
লাঞ্চ ব্রেকে এক কাপ সবুজ চা পান করতে ভুলবেন না। তরতাজা লাগবে, হজমও ভালো হবে।

লাঞ্চ ব্রেক-
দুপুরের খাবারটা উপভোগ করুন। হাল্কা মেজাজে খান। একদম কাজের টেবিল থেকে উঠে গিয়ে আয়েশ করে খাবারটা খান।

লিফট নয়-
অফিসে লিফট বা এলিভেটর এড়িয়ে চলুন। উঠতে নামতে সিঁড়ি ব্যবহার করুন।

মিষ্টি-
পার্টির পাল্লায় পড়ে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাবেন না। পানি, সবুজ চা বা ফলের রস পান করুন। কোল্ড ড্রিঙ্কস বা মিষ্টি জাতীয় ড্রিঙ্কস পান করবেন না।

বাইরে যান-
সারাক্ষণ অফিসে না থেকে একটু বাইরে বের হোন। গায়ে হাওয়া, রোদ লাগান।



মন্তব্য চালু নেই