কাউখালীর বেতবুনিয়া অগ্নিকান্ডে এনজিও অফিসসহ বসত ঘর পুড়ে ছাই

কাউখালীর বেতবুনিয়ায় বৈদ্যুতিক সর্টসার্টিক থেকে লাগা আগুনে সম্পূর্নভাবে ভষ্মিভূত হয়েছে আইডিএফ নামক এনজিও অফিস ও দুই বসত ঘর। তবে এলাকার মানুষের প্রাণপন চেষ্টায় রক্ষা পেয়েছে আরো অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও বসত ঘর। এতে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। গত শনিবার রাত ২টায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পনের লক্ষাধিক টাকা ছাড়িয়ে গেছে বলে দাবী করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ীর মালিক ও সংশ্লিষ্ট অফিসের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার গভীর রাত দু’টার সময় উপজেলার বেতবুনিয়া দক্ষিণ পাড়ায় অবস্থিত আইডিএফ নামক একটি বেসরকারী সংস্থার অফিস কক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহুর্তে আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। গভীর রাতে হঠাৎ আগুন আগুন চিৎকার শুনে স্থানীয়দের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নেভাতে চেষ্টা চালায়। দুই ঘন্টা চেষ্টায় অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। ততক্ষনে একটি এনজিও সংস্থার অফিস কক্ষ ও এর ভেতরে লক্ষ লক্ষ টাকার মূল্যবান নথিপত্র, বাড়ীর মালিক মোঃ এনামুল হকের দুটি বসত ঘর সম্পূন্নভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পুড়ে যাওয়া বসত ঘর দু’টির লোকজন একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকায় ঐদুটি ঘর থেকে কিছুই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

তবে স্থানীয় বসবাসকারীরা জানান, আইডিএফ নামক ঐ বেসরকারী সংস্থার লোকজন প্রায়শই মদ, গাঁজা ও বিভিন্ন ধরণের নেশা গ্রহণ করে শোর চিৎকার করেন। প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই নাকি সেখানে নেশা সেবনকারীদের আড্ডা বসে। মূলত গ্রাহকের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিত অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন। এনিয়ে স্থানীয়রা বেশ কয়েকবার ঐ সংস্থার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী গ্র“পের আড্ডা থাকায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে তেমন এগুতে পারেনি। নামে প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ অফিসের এক কর্মচারীও এবিষয়টি স্বীকার করেছেন। বিষয়টি বাড়ীর মালিকের জানা থাকলেও তিনিও বিষয়টির ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ।

আইডিএফ’র বেতবুনিয়া শাখার ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার আনন্দ প্রিয় বড়–য়া জনান, এটি নিচক একটি দূর্ঘটনা। বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিটে কারণে তার অফিস থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানান। তবে অফিসে মদ, গাঁজার আড্ডার কথা অস্বীকার করেন ঐ কর্তা। তিনি জানান দীর্ঘ আট বৎসর যাবৎ আইডিএফ এ এলাকায় ক্ষুদ্র ঋণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিষয়ে কাজ করছে। তিনি জানান, মূল্যবান নথিপত্র পুড়ে গেলেও সংস্থার সব তথ্যই বিভাগীয় অফিসে সংরক্ষিত রয়েছে। নথি গায়েব করে টাকা পয়সা আত্মসাৎ করার কোন সুযোগ নেই। কোন মহল এ প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এধনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।

কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস,এম চৌধূরী ও বেতবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সামশুদোহা চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বেতবুনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাফর আহাম্মদ অগ্নিকান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে তিনি ঐ এলাকায় মদ গাঁজার আসরের বিষয়ে তার জানা নাই বলে জানান।



মন্তব্য চালু নেই