কলারোয়ায় শিক্ষকের পিটুনিতে স্কুলছাত্রী আহত, হাসপাতালে ভর্তি
শিক্ষকের নির্দয় মারপিটে গুরুতর আহত সাতক্ষীরার কলারোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী জয়া এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহফুজুর রহমান বেদম মারপিট করেন। এতে সে গুরুতর আহত হয়।
আহত ছাত্রী নিশাদ তাসনিম জয়া (১২) ও তার অভিভাবকরা জানান, বুধবার ক্লাস চলাকালে শিক্ষক তাকে মারপিট করেন। এলোপাতাড়িভাবে তার দেহের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করায় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। জয়া কলারোয়া গার্লস হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
জয়া জানায়, তার সহপাঠী এক বান্ধবীর কলম মেঝেতে পড়ে গেলে সে তা তুলে নিয়ে লিখছিল। এ সময় শিক্ষক মাহফুজ এসে তাকে মারপিট করেন। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
জয়ার মা চম্পা খাতুন জানান, প্রথমে তাকে কলারোয়া হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ডাক্তারদের পরামর্শে দুপুরে তাকে নিয়ে আসা হয় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে। একবারমাত্র ডাক্তার এসে তাকে দেখে যান। মেয়ের অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের ডাক্তার ডেকেও পাওয়া যায়নি। পরে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে তাকে স্থানীয় শফি ডায়গনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদরুজ্জামান বিপ্লব জানান, মেয়েটি স্কুলে না খেয়ে এসেছিল। শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মেয়েটি ক্লাসে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আমার কক্ষে নিয়ে আসা হয়। তাকে ওষুধ খাওয়ানো হয়। পরে তাকে তার চাচা বাড়িতে নিয়ে যান। তাকে মারধর করা হয়নি।
অভিযুক্ত শিক্ষক মাহফুজুর রহমান জানান, ক্লাস চলাকালে মেয়েটি পেছনের বেঞ্চে বসে খাতায় অংকন করছিল। আমি তাকে বকা দিয়ে লাঠির একটি বাড়ি মারি। এতে কোনোভাবেই আহত হবার কথা নয়। তাকে হাসপাতালে আনা হলে আমি গত বুধবার থেকে তাকে দেখাশুনা করছি।
আহত ছাত্রী জয়ার বাবা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমার মেয়ের অবস্থা খুবই খারাপ। অথচ দায় এড়াতে প্রধান শিক্ষক ও অভিযুক্ত শিক্ষক মিথ্যাচার করছেন।’
মন্তব্য চালু নেই