কর্মব্যস্ততার বয়স ২৯
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, জীবনের নানা অভিজ্ঞতা ইত্যাদির ভিত্তিতে দেখা গেছে জীবনে সবচেয়ে ব্যস্ততম সময় হচ্ছে ২৯ বছর। গবেষণায় দেখা গেছে, জীবনের একটি ধাপ শেষ করে মধ্য বয়সে পা রাখতে চলা এবং জীবনের নানামুখী চাপ ও জটিলতার কারণে এই সময়ে ব্যক্তির জীবনে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা দেখা যায়।
এছাড়াও পূর্ণাঙ্গ আয়ুষ্কালে একজন মানুষ সবচেয়ে বেশি থাকে ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সে।
গবেষণা পরিচালক এবং ডেলিভারি অ্যাপ কোম্পানি হেন্সম্যানের সহ প্রতিষ্ঠাতা রায়ান পেরিরা বলেন, ‘জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান বস্তু হচ্ছে সময়। তবে দিন যত যাচ্ছে সময় ততই কঠিন হচ্ছে।’
এই জরিপে অংশ নিয়েছে প্রায় দুই হাজার ব্রিটিশ পুরুষ এবং নারী। এর মধ্যে প্রায় ৩০০ জনের বয়স ছিল ২৫ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে।
গবেষণায় দেখা যায়, ২৫ থেকে ৩৪ বছর জীবনের সবচেয়ে ব্যস্ততম সময়। ব্যস্ততার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ৩৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সীরা। তৃতীয় অবস্থানে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীরা। চতুর্থ অবস্থানে ৪৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সী ব্যক্তিরা। ৫৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সীরা রয়েছেন পঞ্চম অবস্থানে। সর্বশেষ এবং ষষ্ঠ অবস্থানে ৬৫ থেকে এর বেশি বয়সীরা।
২৫ থেকে ৩৪ বছরে ব্যস্ততার অন্যতম কারণ পারিবারিক দায়বদ্ধতা, কাজের ধরন এবং ব্যক্তিগত নানা বিষয়ের কারণে এই সময়ে চাপ বেড়ে যায়। সাধারনত ৩০-য়ের পর এবং ৪০ বছরের আগে এই প্রভাবটা বেশি দেখা যায়। কিন্তু ২০ বছরের আগে কেউ এই সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হয় না।
এই বয়সে ব্যস্ততার বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ব্যস্ততার পঞ্চম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমকে।
মন্তব্য চালু নেই