কর্মচারীর সাথে জাদু শিল্পীর আপত্তিকর দৃশ্য দেখে ফেলায় শিশুর লিঙ্গ কর্তনের অভিযোগ

ভয়াবহ শিশু নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে নগরীর গ্রুপ ল্যাবরেটরিজ সেন্টারের মালিকের পুত্র সুব্রতের বিরুদ্ধে। গত বুধবার রাত ১০টায় নগরীর গৃর্জা মহল্লার মকবুল মার্কেটের ২য় তলা অবস্থিত গ্রুপ ল্যাবরেটরিজ সেন্টারে এ ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের শিকার কাউনিয়া নিবাসী মৃত ফারুক হোসেনের ছেলে নাঈম (১২) ওই ল্যাবরেটরিজ সেন্টারে পিয়ন হিসেবে কর্মরত ছিলো। আহত এবং গ্রুপ ল্যাবরেটরিজ সেন্টারের কর্মচারী সূত্রে জানায়ায়, ঐ ল্যাবরেটরিজের মালিক ডা: কমলেন্দু বিশ্বাস হলেও মূলত পরিচালনা করতো তার পূত্র সুব্রত বিশ্বাস। তার বিরুদ্ধে রয়েছে ল্যাবরেটরীজের ষ্টাফ এবং ঔষধ প্রতিনিধিদের নির্যাতনের অভিযোগ। সহযোগী দৈনিক বরিশাল বাণী শিশু নির্যাতনের এ ভয়াবহ সংবাদটি প্রকাশ করেছে।

সূত্র জানায়, সুব্রত বিশ্বাসের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে তারই কর্মচারী মুন্নীর। গত বুধবার রাতে ল্যাবরেটরীজের মধ্যে সুব্রত ও মুন্নীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে পিয়ন নাঈম। এ সময় রাগান্বীত সুব্রত নাঈমের লিঙ্গ ধরে টান দেয়। এতে তার লিঙ্গের একটি অংশ ছিড়ে যায় এবং প্রচুর রক্তপাত ঘটে। এসময় অন্নন্য কর্মচারীরা নাঈমকে দ্রুত সদর হাসপাতারেল নিয়ে যায়। সেখানে কর্মরত চিকিৎসক অবস্থার অবনতি দেখে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে প্রেরনের পরামর্শ দিলে গভীর রাতে কর্মচারী চয়ন, মুন্নী এবং নিপা তাকে শিশু সার্জারীতে ভর্তি করে। গতকাল সকালে সুব্রত তার লোক জন দিয়ে আহত নাঈমকে হাসপাতাল থেকে নাম কাটিয়ে তার বৃদ্ধা অসহায় মায়ের কাছে রেখে আসে এবং কোথাও মুখ না খোলার জন্য হুমকি দেয়। এব্যপারে কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমানের সাথে আলাপ কালে তিনি কলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন কবর। পাঠক, ডা: কমলেন্দু বিশ^াসের ছেলে সুব্রত বিশ^াসের বিরুদ্ধে রয়েছে কর্মচারীসহ ঔষধ প্রতিনিধিদের নির্যাতন, নারী কর্মচারীদের সাথে অনৈতিক সম্পর্কের বিস্তর অভিযোগ।

উল্লেখ্য, এর আগে সিলেটে ১৩ বছরের সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় প্রধান আসামি কামরুল ইসলামসহ চার জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা আর খুলনায় ১২ বছরের রাকিব হাওলাদারকে নির্মম কায়দায় হত্যার দায়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিলরুবা সুলতানা মোটর ওয়ার্কশপ মালিক ওমর শরিফ ও তার সহযোগী মিন্টু খানকে একই সাজা দিয়েছেন। গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে ১৩ বছরের শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীরাই সেই নির্যাতনের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়, যা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় ও ােভের সৃষ্টি হয়। এরপর মাস না ঘুরতেই ৩ অগাস্ট খুলনার টুটুপাড়া কবরখানা মোড়ের একটি ওয়ার্কশপে মোটরসাইকেলে হাওয়া দেওয়ার কমপ্রেসার মেশিনের মাধ্যমে মলদ্বারে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যা করা হয় রাকিবকেসিলেটের জালালাবাদ থানা এলাকার বাদেয়ালি গ্রামের রাজন রিকশা ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করত। আর রাকিব কাজ করত খুলনার পিটিআই মোড়ের এক মোটর গ্যারেজে। তাদের নির্মম হত্যার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও শিরোনাম হয়। রাজন হত্যার ঠিক চার মাসের মাথায় রোববার একই দিনে চাঞ্চল্যকর এ দুই মামলার রায় আসে। আইনজীবীরা বলছেন, এত দ্রুত হত্যা মামলার রায় আসার ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তা দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন রাজনের বাবা আজিজুর রহমান ও মা লুবনা আক্তার। তবে রাকিবের মামলার রায়ে এক আসামি খালাস পাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন ওই শিশুর মা লাকি বেগমঅন্যদিকে দুই মামলাতেই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন আসামিপরে আইনজীবীরা। রায় উপলে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দুই নগরীর আদালতেই বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড় জমে। রাজন হত্যার ১১ আসামিকে হাজির করার সময় আদালতের বাইরে তাদের দিকে জুতাও নিেেপর ঘটনা ঘটে। আর খুলনার আদালত চত্বরে স্লোগান ওঠে, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ফাঁসি ছাড়া দাবি নাই।’

সূত্র: বরিশাল বাণী



মন্তব্য চালু নেই