কমেছে প্রবাসী আয়
চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবাসী-আয় বা রেমিটেন্স কমেছে ৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। তবে বছরের শেষ মাস অর্থাৎ ডিসেম্বরে আগের মাস নভেম্বরের তুলনায় ১৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ রেমিটেন্স বেড়েছে।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে পাঠানো সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৪৮ কোটি ২৩ লাখ মার্কিন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৪৮ কোটি ২৩ লাখ মার্কিন ডলার। আর ২০১৪-১৫ অর্থবছরের একই সময়ে (জানুয়ারি-জুন) প্রবাসীরা ৭৮২ কোটি ৯৭ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছে। অর্থাৎ এই সময়ে রেমিটেন্স কমেছে ৩৪ কোটি ৭৩ লাখ ডলার।
এদিকে চলতি অর্থবছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে মোট রেমিটেন্স এসেছে ১৩০ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। নভেম্বর মাসে এর পরিমাণ ছিল ১১৪ কোটি ২৪ লাখ ডলার। নভেম্বরের তুলনায় রেমিটেন্স বেশি এসেছে ১৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। শতকরা হিসাবে যার পরিমাণ ১৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৪ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার। বিশেষায়িত ৪টি ব্যাংকের মধ্যে কেবল বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমেই রেমিটেন্স পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। ব্যাংকটির মাধ্যমে ১ কোটি ২৯ লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছে।
এছাড়া ৩৯টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে ৮৮ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। আর বিদেশি ৯ ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৭৭ লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছে।
এদিকে সার্বিক ব্যাংক ব্যবস্থায় রেমিটেন্স আয়ে বরাবরের মতো প্রথম স্থানে আছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ব্যাংকটির মাধ্যমে মোট রেমিটেন্স এসেছে ৩২ কোটি ১২ লাখ ডলার। তালিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ১৩ কোটি ৯১ লাখ ডলার।
মন্তব্য চালু নেই