কমলা বিক্রি করে বিদ্যালয় তৈরি, অতঃপর!

৬২ বছর বয়সী একজন সমাজ সংস্কারক, দীর্ঘকাল কমলা বিক্রয় করে নিজ গ্রামে স্থাপন করেছেন একটি বিদ্যালয়। হারেকালা আজাব্বা নামের সেই ব্যক্তি গ্রামে চিঠিপত্রের সাধু নামে পরিচিত। তিনি সারাজীবন কমলা বিক্রয় করে তা থেকে অর্থ জমা করেন। তারপর সেই জমাকৃত টাকা দিয়ে হাজাব্বা মডেল স্কুল তৈরি করেন।
গত বছর হাজাব্বা অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাজাব্বার ছেলে তখন সম্মিলিত খ্রিষ্টান এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আলবান মেনেজের নিকট ফোন করে তার বাবার অসুস্থতার কথা জানান। তারপর তারা সকলে হাজ্জাবার সাথে দেখা করেন। নিজের ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে তার মাঝে বিষণ্ণতা ভর করে। তাই এ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা তাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেন। তিনি তার জীবনের সকল সঞ্চয় দিয়ে হাজ্জাবা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এখন তার পরিবার যেখানে বসবাস করছেন সেখানের অবস্থা বেশি ভাল নয়। ছোট একটি দালানে যেখানে দেয়ালের ইট-বালু খসে খসে পড়ছে। কিন্তু তার আর্থিক অবস্থা ভাল না হবার কারণে সে তার বাড়ি মেরামত করতে পারছেন না।
তাই আলবান তাকে ১৫ লাখ টাকায় একটি নতুন দালান উপহার হিসেবে দেয়ার প্রতিজ্ঞা করেন। ভারতের মাঙ্গালুরুতে তাকে ১৫ লাখ টাকায় একটি বাড়ি উপহার দেয়া হয়। এই বিষয়ে হাজ্জাবা বলেন, ‘আমি কখনও স্বপ্নেও কল্পনা করিনি যে আমি ১৫ লক্ষ টাকার বাড়িতে থাকব। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি তাদের সকলের নিকট ঋণী যারা আমাকে এই বাড়ি উপহার দিয়েছেন। আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমি আমার নিজের জন্য কখনও এত টাকা রোজগার করিনি।’
মানুষ তার কর্মের সুফল দুনিয়াতে পেয়ে যায়। তিনি গ্রামে বিদ্যালয় স্থাপন করে যেমন অনেক শিশুদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করেছেন, তেমনি তার বাকি জীবন যেন ভালভাবে অতিবাহিত হয় এর সু-ব্যবস্থাও সৃষ্টিকর্তা করে দিয়েছেন।–সুত্র: ইন্ডিয়া টাইম্‌স।



মন্তব্য চালু নেই