কবুতরের জেল !

দূর দেশে চিঠি পৌঁছে দেয় গুপ্তচর সাদা পায়রা। রাজা-রাজরাদের আমলে, এমনকি দুই বিশ্বযুদ্ধেও পায়রার পায়ে চিঠি বেঁধে বার্তা পাঠানোর রেওয়াজ রয়েছে।

সেলুলয়েডের সৌজন্যে এ দৃশ্যও সবারই পরিচিত। সেই সাদা পায়রাকেই এবার ভারতের বিরুদ্ধে চর হিসেবে ব্যবহার করছে পাকিস্তান। এমনই সন্দেহ দানা বেঁধেছে ভারত-পাক সীমান্ত থেকে একটি সাদা পায়রা উদ্ধারের ঘটনায়।

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় পাকিস্তান সীমান্ত থেকে চার কিলোমিটার দূরে, পাঞ্জাবের পাঠানকোটের গ্রাম মানওয়ালে রমেশ চন্দ্র নামে এক নাপিতের বাড়িতে এসে বসে একটি সাদা পায়রা।

রমেশের ছেলে দেখতে পান, পায়রাটির লেজের কাছে উর্দুতে কিছু লেখা আছে। এতে সন্দেহ হওয়ায় কাছের পুলিশ স্টেশনে পায়রাটিকে নিয়ে যায় সে। পুলিশ দেখে পায়রাটির লেজে যে বার্তাটি রয়েছে, তার আংশিক উর্দুতে লেখা।

বাকিটা একটা ল্যান্ডলাইন টেলিফোন নম্বর। বিষয়টি খতিয়ে দেখা যায়, ফোন নম্বরটি পাকিস্তানের নারওয়াল জেলার। ওই বার্তা ছাড়াও কবুতরটির গায়ে তারজালির মতো কিছু একটা জুড়ে দেয়া ছিল। পায়রাটিকে পশুপালন দফতরে দিয়ে তার এক্স-রে করানো হলেও রিপোর্টে কিছু পাওয়া যায়নি। তবে সেটিকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে এই সময়।

পাঠানকোটের এসএসপি রাকেশ কৌশল জানিয়েছেন, কোনো পাখির এভাবে পাকিস্তান থেকে উড়ে আসার ঘটনা বিরল। এর আগেও আমরা এখানে অনেক চরকে ধরেছি। এ এলাকায় অনুপ্রবেশ হয়েই থাকে। পাখিটিকে ‘সন্দেহজনক চর’ হিসেবে দেখিয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে। পরবর্তীতে গুপ্তচরের আলামত পাওয়া গেলে মামলায় জেল হতে পারে কবুতরটির। স্থানীয় পুলিশ কর্তারা গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন বিএসএফ ও আইবিকে।

ঠিক দুদিন আগে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো পাঞ্জাব পুলিশকে সতর্ক করে জানিয়েছিল, জম্মু ও পাঠানকোট এলাকায় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গিগোষ্ঠীর সক্রিয় হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

যেদিন ওই এলাকায় পায়রাটি উদ্ধার হয়, সেদিন সেখানে নিরাপত্তা নিয়ে জরুরি এক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী ও পাঞ্জাব পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের মধ্যে। তারই মধ্যে এই স্পাই পায়রার ঘটনায় কপালে ভাঁজ পড়েছে গোয়েন্দাদের।



মন্তব্য চালু নেই