কপাল পুড়তে পারে রাশিয়া ও কাতারের
২০১৮ বিশ্বকাপের জন্য ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে রাশিয়া। ২০২২ বিশ্বকাপের ৭৫ ভাগের বেশি কাজ সম্পন্ন করেছে কাতার। সবকিছু ঠিকঠাক মতোই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফায় ঝড় ওঠে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার। আর সেই ঝড়ে এখন প্রায় সবকিছু লণ্ডভণ্ড।
আয়োজক নির্বাচনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রমাণ মিললে ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপ রাশিয়া এবং কাতারে নাও হতে পারে, এমনই এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি স্পোর্টস। ফিফার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ডমিনিকো স্ক্যালাও এমনটাই জানিয়েছেন। অবশ্য কাতার ও রাশিয়া অসৎ উপায় অবলম্বনের বিষয়টি অস্বীকার করছে। পাশাপাশি স্ক্যালা এটাও জানিয়েছেন যে এখানে তিনিও কোনো দুর্নীতির প্রমাণ পাননি। কিন্তু ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজন নির্বাচনে দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছিল কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে সুইস ও আমেরিকার অথরিটি।
এ বিষয়ে স্ক্যালা বলেন, ‘রাশিয়া ও কাতার বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হতে অর্থের বিনিময়ে ভোট কিনেছে। এটার প্রমাণ মিললে ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপ রাশিয়া ও কাতার থেকে বাতিল করা হবে। তবে এখনো কোনো দুর্নীতির প্রমাণ মিলেনি।’
স্ক্যালা অবশ্য ২০১৩ সালেও একই মন্তব্য করেছিলেন। তবে এবার তিনি যে পরিস্থিতিতে এমন মন্তব্য করেছেন সেটা আরো বেশি সিরিয়াস। গেল দুই সপ্তাহে ফিফার বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা গ্রেফতার হয়েছেন। আমেরিকার প্রসিকিউটরস ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে। তাদের মতে গেল ২৪ বছরে ফিফার কর্মকর্তাগণ ১৫০ মিলিয়ন ডলার ঘুষ গ্রহণ করেছেন।
মন্তব্য চালু নেই