কথা রাখেননি ঋতুপর্ণা!
মান্না ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির যৌথ উদ্যোগে গতকাল রাজধানীর শিশু একাডেমি চত্বরে অনুষ্ঠিত ‘মান্না উৎসব ২০১৬ : ড্রিমস অব মান্না’উদযাপিত হয়েছে।আর এ উৎসবে আসবেন বলে কথা দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি আর এ উৎসবে আসেন নি।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে নায়ক মান্নার সাথে জুটি বেঁধে কয়েকটি ছবিতে ঋতুপর্ণা অভিনয় করেছিলেন। এছাড়া তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত সর্ম্পকও দারুণ ছিলো। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে তিনি এ অনুষ্ঠানে আসতে পারেনি।
এদিকে অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে উপস্থাপক ফেরদৌস জানান, ঋতুপর্ণা আমাকে একটি ম্যাসেজ পাঠিয়েছেন, যাতে তিনি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। চিত্রনায়ক মান্নার সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘জুম্মন কসাই’, ‘স্বামী ছিনতাই’সহ বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।
ঋতুপর্ণার প্রথম ছবি ‘শ্বেতপাথরের থালা’ মুক্তি পায় ১৯৯৫ সালে। এরপর তাঁকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রভাত রায়ের এই ছবিটি সেইবছর শ্রেষ্ঠ বাংলা ছবি হিসাবে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। তারপর সুজন সখী, নাগপঞ্চমী, মনের মানুষ ও সংসার সংগ্রাম ছবিগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
দহন ছবিতে ধর্ষণের শিকার এক নববিবাহিতা রোমিতা চরিত্রে অভিনয় করে তিনি ১৯৯৮ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসাবে অর্জন করেন জাতীয় পুরস্কার। অভিনয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গেও জড়িত ঋতুপর্ণা।
ঋতুপর্ণা ওড়িশি ও মণিপুরী নৃত্যে পারঙ্গমা। এছাড়া তিনি স্থাপন করেছেন প্রিজম এন্টারটেইনমেন্ট নামে একটি প্রযোজনা সংস্থাও। ১৯৯৯ সালে বাল্যপ্রেমিক সঞ্জয় চক্রবর্তীকে বিবাহ করেন। সঞ্জয় মবিঅ্যাপস নামে কলকাতার একটি সিইও-এর প্রতিষ্ঠাতা। থ্যালাসেমিয়া রোগাক্রান্ত শিশুদের সাহায্যার্থেও ঋতুপর্ণা সহযোগিতা করে থাকেন।
মন্তব্য চালু নেই