কক্সবাজার পুলিশ ক্যান্টিনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার বিক্রি
মোঃ আমান উল্লাহ, কক্সবাজার : কক্সবাজার সদর মডেল থানার আওতাধীন ক্যান্টিনটিতে প্রতিদিন অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি খাবার বিক্রি হচ্ছে। ক্যান্টিনটির ভেতরের অবস্থাও করুন। রান্নাঘরের পরিবেশ এমন মানুষের মুখদিয়ে বমি আসার উপক্রম। রান্না বান্না অন্যদিকে স্যাঁতস্যাতে পরিবেশে কর্মচারীদের অপরিচ্ছন পায়চারি এক বিদগুটে পরিবেশের সৃষ্টি করেছে।
স্যাঁতসেতে পরিবেশ তো বটেই খাদ্য প্রস্তুতকারী কর্মীদের শারীরিক অবস্থাও বেহাল। শরীর থেকেও বের হচ্ছে উৎকট গন্ধ। হাতের নখের ফাঁকে ফাঁকে অজস্র ময়লা। খাদ্য সামগ্রী রাখার পাশাপাশি ময়লাযুক্ত বাঁসী তৈল (মবিলের মতো) তেল দিয়ে খাবার তৈরি করছে। পুলিশের ক্যান্টিন হলেও দেখতে গ্রাম অঞ্চলের গরুর গোয়ালের মত এ রেঁস্তোরার অবস্থা। এটির উপ- ভাড়াটিয়া (স্বত্ত্বাধিকারি) অভিজিৎ এর ও এ ব্যাপারে কোন দেখভাল নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, তরে-তরে সাজিয়ে রাখা বিভিন্ন প্রকার খাদ্যে মশা-মাছি গড়াগড়ি খাচ্ছে। কোন প্রকার ঢাকনা নেই এসব খাদ্যের বড় বড় প্লেটে। রেষ্টুরেন্টের নিত্য ব্যবহৃত থালা-বাসন, গ্লাস, মগ, জগ ও কাপ-পিরিচ ক’দিন আগের ধৌত করা তাও বলা মুশকিল। একজনের খাবারের উচ্ছিষ্ট খাবার থালায় নিয়ে ঢেলে রাখে এবং পুনরায় আরেক ভোক্তাকে তা পরিবেশন করে। পুলিশের এই ক্যান্টিনে এ যেন অরাজক কারবার।
সচেতন ভোক্তারা মডেল পুলিশের নোংরা আর্বজনায় ভরপুর ক্যান্টিনটির এমন দূরাবস্থা নিরসনে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অপরদিকে মীম থেকে বের হয়ে মোবাইল কোর্ট টিম পাশ্বাের্ক্ত আরো একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে সেখানে ফ্রীজে রক্ষিত দূধের প্যাকেটে কোনো রকম মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকার অপরাধে তাকেও আর্থিক দন্ডে দন্ডিত করা হয়।
কক্সবাজার শহরে বেশ খ্যাতি পাওয়া ফুড কর্নার প্রতিষ্ঠান ‘স্বাদ’ তাদের খাবার তৈরী করছে অস্বাস্থকর ও নোংরা পরিবেশে। পুরাতন এস.আলম কাউন্টার সংলগ্ন প্রধান সড়কে অবস্থিত চাকচিক্যপূর্ণ স্বাধের শো-রুমটি দেখলে কেউ হয়তোবা চিন্তাও করতে পারবে না তাদের তৈরীকৃত খাবার গুলো কতটা নোংরা ও অস্বাস্থকর পরিবেশে তৈরী হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে আলীরজাহালস্থ স্বাদের কারখানায় নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে রকমারী খাবার।
রুটি, পাউরুটি, দই, হালিম ও রোযার মাসের ইফতার আইটেমসহ নানাবিধ খাদ্য। একদিকে রান্না বান্না অন্যদিকে স্যাতস্যাতে পরিবেশে কর্মচারীদের অপরিচ্ছন পায়চারি এক বিদগুটে পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। দেখা গেছে, পুরোনো বাসী রুটির টুকরো গুলো জমিয়ে রাখা হয়েছে পরবর্তীতে নতুন রুটিতে মিশিয়ে দেওয়ার জন্যে। অথচ সহজ সরল সাধারণ ক্রেতারা এই স্বাদের এই রুটির ব্যাপারে বেশ সুনাম করে আসছে।
কিন্তু স্বাদের কর্তৃপক্ষ ক্রেতাসাধারণের এমন বিশ্বাসে কুঠারাঘাত করে পুরোনো বাসী ভেজাল মিশ্রিত করে হরদমে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এব্যাপারে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চাইলে স্বাদের আংশিক স্বত্ত্বাধিকারি মো. রফিক জানান, ‘ছোট ভাই এগুলি নিয়ে লেখার দরকার নাই, কিছু লাগলে বইলেন’। পরবর্তীতে মোবাইলে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দিতে থাকে।
মন্তব্য চালু নেই