ওয়েলিংটনে ৭ উইকেটে হারল বাংলাদেশ

৫৬ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে করে ১৬০ রান। ফলে নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য দাড়ায় ২১৭। ওয়েলিংটনে শেষ দিনে ৫৭ ওভার ব্যাটিং করার সুযোগ ছিল স্বাগতিক দলের। দ্বিতীয় ইনিংসে কেন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেটে জয় তুলে নিলে নিউজিল্যান্ড।

স্কোর: বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ৫৯৫/৮ (ডিক্লেয়ার)

দ্বিতীয় ইনিংস ১৬০/৯

নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস ৫৩৯

নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস ২১৭/৩

উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরি: দলের জয় নিশ্চিত করার পাশপাশি সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ৯০ বল মোকাবেলা করে ১০৪ রান নিয়ে শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন উইলিয়ামসন।

টেইলরকে ফেরালেন শুভাষিস: শেষ মুহুর্তে রস টেইলরকে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে জুটি ভাঙলেন শুভাষিস রয়। টেইলরকে আউট করায় উইলিয়ামসনের সঙ্গে তার ১৬৩ রানের জুটি ভাঙে।

উলিয়ামসনের ফিফটি: মিরাজের জোড়া আঘাতের পর অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রস টেইলর ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের নির্ভরযোগ্য ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাড়িয়েছে নিউজিল্যান্ড। ৪৩ বলে ফিফটি তুলে নিয়েছেন উইলিয়ামসন।

উইলিয়ামসনের পর টেইলরের ফিফটি: উইলিয়ামসনের পর ফিফটি তুলে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রস টেইলর। তাসকিন আহমেদের বল থেকে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের ২৬তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন টেইলর।

টেইলর-উইলিয়ামসনের প্রতিরোধ: মিরাজের জোড়া আঘাতের পর নিউজিল্যান্ডের হয়ে ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়ছেন টেইলর ও উইলিয়ামসন জুটি। এই দুই তারকা চা বিরতির আগে ৫২ রানের পার্টনারশীপ গড়েছেন। বাকি ৩৮ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ৮ উইকেটে আর নিউজিল্যান্ডের চাই ১২৬ রান।

মিরাজের শিকার লাথাম: প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ১৭৭ রান করেছিলেন টম লাথাম। দ্বিতীয় ইনিংসে তাকে আটকে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৬ রানে শেষ লাথামের ইনিংস। মিরাজের বল লাথামের ব্যাট ছুঁয়ে আঘাত করে স্ট্যাম্পে।

মিরাজের প্রথম সাফল্য: প্রথম ইনিংসে ৩৭ ওভার বল করে কোনো উইকেটের দেখা পাননি মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুতেই দলকে সাফল্য এনে দিলেন ডানহাতি এ অফস্পিনার। মিরাজের ফ্লাইটেট ডেলিভারীতে ড্রাইভ করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দেন জীৎ রাভাল। বামপাশে ঝাঁপিয়ে বল তালুবন্দি করেন ১৯ বছর বয়সি ক্রিকেটার।

শুভাশিষ বোল্ড: বোল্টের করা ৫৮তম ওভারের প্রথম চারটি বল কোনো রকমকে ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শুভাশিষ। কিন্তু পঞ্চম বলটি আর পারলেন না। দ্রুত গতির ইয়র্কারে বোল্ড শুভাশিষ। ৩৬ রানে নট আউট ইমরুল কায়েস।

সাব্বিরও সাজঘরে: ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর ইনিংসটিকে বড় করতে পারেননি সাব্বির রহমান। ট্রেন্ট বোল্টের বলে অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন সাব্বির। ১০১ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ইনিংসটি সাজান সাব্বির।

সাউদির শিকার রাব্বী: সাউদির শর্ট বলে গালিতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন কামরুল ইসলাম রাব্বী। ১৪ বলে ১ রান করেন রাব্বী।

সাব্বিরের টানা দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি: প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পেলেন সাব্বির রহমান। এটি তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি। মধ্যাহ্ন বিরতির পর টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্টকে দুটি দারুণ শটে বাউন্ডারি মারেন সাব্বির। বোল্টের বলে বাউন্ডারি মারার পর এক রান নিয়ে মাইলফলকে পৌঁছান সাব্বির।

ব্যাটিং করবেন ইমরুল: উরুর মাংসপেশিতে টান লাগায় চতুর্থ দিনের শেষ দিকে মাঠ থেকে উঠে যান ইমরুল কায়েস। তবে এখন ব্যাটিংয়ে নামার জন্য প্রস্তুত ইমরুল। শতভাগ ফিট হননি। একমাত্র দলের প্রয়োজনে মাঠে নামবেন তিনি। ২৪ রানে নিজের ইনিংসটি আবার শুরু করবেন বাঁহাতি ওপেনার।

রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন সাব্বির: সাউদির শর্ট বল পুল করতে গিয়েছিলেন সাব্বির রহমান। কিন্তু ব্যাটে বলে কোনো সম্পর্ক হয়নি। বল চলে যায় উইকেটরক্ষক ওয়াটলিংয়ের হাতে। সাউদি আবেদন করলে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। সতীর্থ কামরুল ইসলাম রাব্বীর সঙ্গে আলোচনা করে রিভিউ নেন সাব্বির। কিন্তু বল ব্যাট বা গ্লাভসের কোথাও স্পর্শ না করায় অন আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পাল্টে দেন তৃতীয় আম্পায়ার।

বোল্টের বলে বোল্ড তাসকিন: পেসার ট্রেন্ট বোল্টের অসাধারণ এক ইয়র্কারে মধ্যাহ্ন বিরতির এক ওভার আগে বোল্ড হন তাসকিন আহমেদ। প্রথম ইনিংসে ৩ রান করা তাসকিন দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৫ রান।

হাসপাতালে মুশফিক: টিম সাউদির করা শর্ট বল মুশফিকুর রহিমের হেলমেটের পিছনে আঘাত করে। বল হেলমেটে আঘাত করার পর পরই মুশফিকুর রহিম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মাঠ থেকেই অ্যাম্বুলেন্সে মুশফিকুর রহিমকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

মুশফিকুর রহিম ব্যাটিংয়ে: আঙুলে চোট নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম।

মুমিনুল হকও সাজঘরে: সাকিবের পর দ্রুত সাজঘরে ফিরেন মুমিনুল হক। নেইল ওয়াগনারের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে গালিতে গ্র্যান্ডহোমের হাতে ক্যাচ দেন ২৩ রান করা মুমিনুল।

সাকিবের শূণ্য: প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা ২১৭ রান করেছিলেন সাকিব। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে? শূণ্য রানে সাজঘরে সাকিব। টেস্ট ক্যারিয়ার এ নিয়ে তৃতীয়বারের মত শূণ্য রানে আউট সাকিব। ২০০৯ সালের পর শূণ্য রানে আউট হলেন সাকিব। স্পিনার স্যান্টনারের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দেন সাকিব।

মুমিনুলের সঙ্গী সাকিব: রোববার চতুর্থ দিনের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে বলে রান আউট হন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের আউটের পরপরই আম্পায়াররা দিনের খেলার সমাপ্তি টানেন। মুমিনুল ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। আজ তার সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান।



মন্তব্য চালু নেই