ওসি ব্যবস্থা নিলে কনস্টেবল হালিমা আত্মহত্যা করতেন না!
ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার আহম্মেদ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে কনস্টেবল হালিমা খাতুন আত্মহত্যা করতেন না।
সোমবার ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গৌরীপুর থানার নিহত কনস্টেবলের বাবা হেলাল উদ্দিন এ অভিযোগ করেন। এ সময় হালিমার মামা মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হাসান খানও উপস্থিত ছিলেন।
কনস্টেবল হালিমা খাতুন গত ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় থানা চত্বরের কোয়ার্টারের নিজ কক্ষে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় গত ৪ এপ্রিল নারী কনস্টেবলকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
নিহতের বাবা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এসআই মো. মিজানুল ইসলাম আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। এ বিষয়টি থানার ওসিকে জানালেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। ওসি যদি অভিযোগটি গ্রহণ করতেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেন তাহলে হালিমা আত্মহত্যার পথ বেছে নিত না।’
মেয়ে হত্যার বিচারের জন্য একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন হেলাল উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হালিমার বাবা হেলাল উদ্দিন বলেন, গত ১৭ মার্চ রাত ২টার দিকে হালিমাকে ধর্ষণ করেন গৌরীপুর থানার এসআই মো. মিজানুল ইসলাম। বিষয়টি ওসিকে জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। এসআই রিপন, এসআই খালেকুজ্জামান, এসআই হাসান ও তাঁর সঙ্গীদের কাছে বিষয়টি বলা হলে তাঁরা হালিমাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা ও অশালীন মন্তব্য করতেন।
এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার ওসি দেলোয়ার আহাম্মেদ বলেন, ‘ঘটনার দুদিন আগে এসআই মিজানুল আমাকে জানান, হালিমা তাঁকে বকাবকি করে। এ বিষয়ে হালিমার সঙ্গে কথা বললে তিনি মিজানুলের অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান। কাজেই তাঁর বাবার অভিযোগ সত্য নয়।’
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ইমারত হোসেন গাজী বলেন, মেডিকেল প্রতিবেদনের জন্য আলামত ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদন এলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য চালু নেই