ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে গুঞ্জন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী নই- এমন ঘোষণা দেয়া দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে সম্মেলন শুরুর দুই দিন আগে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। তার অনুসারীরা প্রচার চালাচ্ছেন, দলের সাধারণ সম্পদক পদে তিনিই প্রথম পছন্দ। ওবায়দুল কাদেরকে তার ঘনিষ্টজনদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বলেছেনও সে কথা।
ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ দুই পদে রদবদল নিয়ে কোনো কথাই ছিল না দুই সপ্তাহ আগেও। এরই মধ্যে তিন বার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দলে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের কথা। এমনকি নিজের পদেও নতুন মুখ চেয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। কেন্দ্রীয় কমিটির মোট কয়টি পদে নতুন মুখ আসবে- সে কথা না জানালেও মঙ্গলবার রাতে তিনি আবারও বলেছেন, নতুন নেতৃত্ব আসবে আওয়ামী লীগে।
দলীয় সভাপতির এই বক্তব্যের পর পরই ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে নতুন গুঞ্জন ছড়ায়। তার অনুসারীরা বলছেন, দলের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকেও কাদেরের অনুসারীরা ছড়িয়ে দিয়েছেন সেসব কথা।
এই খবরে সেতুমন্ত্রীর সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয়েছে উল্লাস। আগেভাগেই মিষ্টি বিতরণও হয় নিজেদের মধ্যে।
তবে ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে কিছু জানাননি। জাতীয় সম্মেলন শুরুর দুই দিন আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের মঞ্চ পরিদর্শনে যান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন নেতা ও অনুসারী।
সাধারণ সম্পাদক নিয়ে গুঞ্জন সম্পর্কে সম্মেলন স্থলে থাকা সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেত্রীর প্রতি আমাদের বিশ্বাস, আস্থা আছে। তিনি আমাদের যে পদে দায়িত্ব দেবেন সেখানেই আমরা কাজ করবো। তবে কে কোন পদে আসছেন তা জানার জন্য ২৩ তারিখ বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর একজন সদস্য বলেন, ‘নেত্রী কাদের ভাইকে এমন কথা বলছেন, তা আমি দেখিনি। তবে যে গুঞ্জন উঠেছে তার সত্যতা আছে বলে মনে হয়।’
পরে বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বেশ কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে কথা বললে তারাও এমন গুঞ্জনের কথা জানিয়েছেন। তবে সবাই বলেছেন, বিষয়টি একান্ত নেত্রীর সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। তাই ২৩ অক্টোবর সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
কাদেরের অনুসারীরা বলছেন, তিনি সাধারণ সম্পাদক হলে কপাল খুলবে জাহাঙ্গীর কবীর নানকেরও। বর্তমান এই যুগ্ম সাধারণ সে ক্ষেত্রে দলের এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন। তিনি দলে ওবায়দুল কাদেরের অনুসারীদের একজন হিসেবেই পরিচিত।
একই ভাবে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার হতে পারেন সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা বাহাদুর বেপারী, শাহাজাদা মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম খোকনও দলের নেতৃত্বে চলে আসতে পারেন।
এতদিন আলোচনায় ছিলেন কেবল আশরাফ
গত দুই জাতীয় সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়া সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আবারও এই পদে নির্বাচিত হচ্ছেন- এতদিন এমন কথাই বলে আসছিলেন আওয়ামী লীগের নেতারা। অন্যান্যবার সম্মেলনের আগে সাধারণ সম্পাদকের পদটি নিয়ে দলীয় সভাপতি ইঙ্গিত দিলেও এবার তিনি অন্যদেরকে এ বিষয়ে কিছু বলেননি।
বিষয়টি নিয়ে সৈয়দ আশরাফের মুখ থেকে একটিবারের জন্যও কোনো কথা শোনা যায়নি। বরাবরের মতোই এই বিষয়গুলো নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে একটিবারের জন্যও উৎসাহ দেখাননি আশরাফ।
মন্তব্য চালু নেই