এ কেমন ব্যাধী, এ কেমন বেঁচে থাকা !
‘আমরা বরং তার এভাবে ধুকে-ধুকে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াটাকেই ভালো মনে করি’ বলছিলেন ভারতের ১২ বছর বয়সী এক বালকের বাবা-মা।
দুরারোগ্য ব্যাধিতে বালকটির মাথা সবসময় ১৮০ ডিগ্রি বাঁকা হয়ে থাকে। আর সে কারণেই তারা বাবা-মায়ের এই আক্ষেপ। কোনো এক দুরারোগ্য ব্যাধির কারণে মধ্য ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যের বাসিন্দা মাহেন্দ্র আহিরওয়ার নামের ১২ বছর বয়সী ওই বালকের মাথাটি তার দেহ থেকে ১৮০ ডিগ্রি বাঁকা হয়ে ঝুলে থাকে।এ কেমন ব্যাধী, এ কেমন বেঁচে থাকা!
এছাড়া দূর্বল মেরুদণ্ডের কারণে সে দাঁড়াতে, হাঁটতে বা বসতেও পারে না। শুধুমাত্র হামাগুড়ি দিয়ে চলতে পারে। এমনকি টয়লেটে যেতেও তার অন্যের সহযোগিতা নিতে হয়।
বালকটির বাবা মুকেশ আহিরওয়ার (৪০) ও মা সুমিত্রা আহিরওয়ার (৩৫) জানিয়েছেন, তারা ভারতের অন্তত ৫০ জন নামকরা ডাক্তারের কাছে তাদের ছেলেকে নিয়ে গেছেন কিন্তু তাদের কেউই এর কোনো চিকিৎসা দিতে পারেন নি।এ কেমন ব্যাধী, এ কেমন বেঁচে থাকা!
এতে ছেলেটির মা আক্ষেপ করে বলেন, তার এই যন্ত্রণা দেখে আমার সহ্য হয় না। ডাক্তাররা যদি তাকে ভালো করে তুলতে না পারেন তাহলে ঈশ্বরের উচিৎ তাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া।
ওই মা জানান তার ১৬ ও ১০ বছর বয়সী আরো দুটি ছেলে সন্তান ও ১৪ বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তান আছে। তাদের কারো জন্মের সময়ই ডাক্তারের কাছে যেতে হয়নি। ফলে মাহেন্দ্রর গর্ভধারণ ও জন্মের সময়ও তারা ডাক্তার দেখান নি। কিন্তু জন্মের ৬ মাস পর থেকেই মাহেন্দ্রর মাথাটি একদিকে ঝুলে যেতে থাকে।এ কেমন ব্যাধী, এ কেমন বেঁচে থাকা!
পরে ঠিক হয়ে যাবে ভেবে বাবা-মা সেসময় তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাননি। কিন্তু ৩ বছর বয়সেও সে তার মাথাটি সোজা করে তুলতে পারছিল না।
এরপর মাহেন্দ্রর দিনমুজুর বাবা মুকেশ, যার দৈনিক আয় মাত্র ২০০ রুপি, মাহেন্দ্রকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। কিন্তু ডাক্তারদের শত চিকিৎসায়ও তার রোগমুক্তি ঘটেনি।
এমনকি ভারতের শীর্ষ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সও এর চিকিৎসা করতে ব্যর্থ হয়।
ফলে দুই বছর আগে মাহেন্দ্রকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়াও বন্ধ করে দেন তার বাবা-মা।
মন্তব্য চালু নেই