বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যায় পুলিশের মামলা
চট্টগ্রাম : এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা অাক্তার মিতুর খুনের ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
রোববার রাত ১০টার দিকে নগরীর পাঁচলাইশ থানার এসআই ত্রিরতন বড়ুয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বিষয়টি জানান, পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের ব্যাচমেট ও নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান।
রোববার সকাল ৭টার দিকে নগরীর জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে গুলি করে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে হত্যা করে দৃর্বৃত্তরা। দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। অতি সম্প্রতি বাবুল আক্তারের পদোন্নতির পর ঢাকায় অবস্থান করলেও তার স্ত্রী ছেলে-মেয়েকে নিয়ে নগরীর জিইসি এলাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন।
পিবিআই চট্টগ্রাম প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বশির আহমেদ খান জানান, সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটের দিকে বাসা থেকে ১০০ গজ দূরে ছেলেকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে যাওয়ার পথে তিনজন মোটরসাইকেল আরোহী বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে প্রথমে ধাক্কা দেয়। এরপর তারা ছুরিকাঘাত করে পরপর তিন রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। ছুরিকাঘাতের পাশাপাশি মাহমুদা আক্তারের মাথার বাম পাশ গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এদিকে এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা অাক্তার মিতুর হত্যাকণ্ড সারাদেশে চলমান হত্যাকাণ্ডের সাথে এক সূত্রে গাঁথা বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
রোববার দুপুরে জিইসি মোড়ের বাসায় বাবুল আক্তারের সাথে দেখা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘পরিকল্পিত ভাবে এ হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। দেশকে অস্থিতিশীল করতে চলমান হত্যাকাণ্ডের সাথে এটি এক সূত্রে গাঁথা।’
তিনি আরো বলেন, ‘মনোবল ভেঙে দিতেই জঙ্গিরা এ হামলা চালিয়েছে। তাদের ধারণা পুলিশের কাউকে হত্যা করলেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে পুলিশের মনোবল ভেঙে যাবে। কিন্তু পুলিশের তো মনোবল ভাঙবে না। কারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে, কারা জড়িত তদন্ত করে তাদের বের করা হবে।’
মন্তব্য চালু নেই