এশিয়ার বৃহত্তম যৌনপল্লীতে এখন যুবতী নারীর শরীর বিক্রি হয় মাত্র ১২৪ টাকায়!
পৃথিবীর অনেক দেশেই দেহ ব্যবসা আইনত বৈধ, যদিও অনেক দেশেই একে বেআইনীও মনে করা হয়৷ তেমনই ভারতেও দেহব্যবসা অবৈধ, কিন্তু তা সত্ত্বেও এদেশে এই বেআইনী কারবার বেশ রমরমিয়ে চলছে৷
ডেলি মেলের খবর অনুযায়ী, এশিয়ার সবথেকে বড় রেডলাইট এরিয়া ভারতেই রয়েছে৷ সেই জায়গায় নাম অনেকেই জানেন, কলকাতার সোনাগাছি৷ এই এলাকাটা ঠিক যত না বড় তার থেকেও বড় এখানে বসবাসকারী মহিলাদের দুঃখের কাহিনী৷ এখানে প্রায় ১৪ হাজারেরও বেশি পতিতা বাস করেন৷
সোনাগাছির অলিগলিতে পথ শিশুর ভিড়, মেকআপে ব্যস্ত যুবতী থেকে অন্দরে অপেক্ষারত রমণী এই এলাকায় হামেশাই চোখে পড়ে৷ এখানে বিভিন্ন বহুতল বাড়িতে দেহব্যবসার আসর বসে৷ এখানে কেউ পেটের দায়ে শরীর বেচে আবার কাউকে জোর করে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয়৷ একবার কেউ এখানে ফেঁসে গেলে সহজে তার নিস্তার নেই৷
কলকাতাকে আনন্দনগরী বলে হলেও গোটা শহরের অন্ধকার যেন এই এঁদো গলিতে৷ এখানকার মহিলাদের কাছে এটাই স্বর্গ৷ কিন্তু নিজেদের সন্তানদের নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন এঁরা৷ ছেলেমেয়েদের গায়ে যাতে কাদা না লাগে সেই চেষ্টাই করে চলেন এঁরা৷
এমনিতে পতিতাপল্লী ও দেহব্যবসায়ীদের নিয়ে প্রচুর সিনেমা তৈরি হয়েছে৷ কিন্তু আপনি শুনলে আবাক হতেই পারে, সোনাগাছির জীবন নিয়েও সিনেমা তৈরি হয়েছে৷ ‘বর্ন ইন ব্রথেলস’ নামের সিনেমাটি অস্কারও পয়েছে৷
এখানকার জীবন দুর্ভাগ্য শব্দটিকেও হার মানায়৷ সে বয়সে আমরা সমাজের নিয়ম-কানুন, শিখি সেবয়সে এখানকার মেয়েরা নিজের শরীর বিক্রি করতে শেখে৷ ১২ থেকে ১৭ বছরের নাবালিকারা অচেনা পুরুষের সঙ্গে রাত কাটাতে শেখে, তাদের মন জোগাতে শেখে৷ তার বদলে তারা পায় মাত্র ১২৪ টাকা৷ এই এলাকায় যদিও বাইরের লোকের আনাগোনা নিষিদ্ধ৷ এমনকি সাংবাদিক বা ফটোগ্রাফারদেরও এলাকার ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয় না৷
মন্তব্য চালু নেই