এরশাদ আর ভুল করবেন না : নাসিম

জাতীয় পার্টির অবস্থান সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘এরশাদ রংপুরের সন্তান। তিনি আর ভুল করবেন না। আমাদের সঙ্গে আছেন। আগামীতেও থাকবেন।’

শনিবার সন্ধ্যায় রংপুরের মিঠাপুকুরের শাপলা চত্বরে ১৪ দলের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া খুনি ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক দাবি করে নাসিম বলেন, ‘২০১৯ সালের একদিন আগেও নির্বাচন হবে না। আগামীতে নির্বাচন নিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনা হবে না। কারণ তিনি খুনি, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। ২০১৯ সালে যে আলোচনা হবে সেটা তার সঙ্গে নয়, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে।’

বেগম জিয়া খুনি দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি নিজেকে অবরুদ্ধ রেখে হুকুম দিচ্ছেন। তার হুকুমে সন্ত্রাসীরা নিরীহ মানুষ হত্যা করছে। আগুন দিয়ে সম্পদ ধ্বংস করছে। একের পর পর বোমাবাজি হচ্ছে। এনজিও কর্মী, ট্যাক্সি চালক, রিকশা চালক, সাধারণ মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছে। এরা সাধারণ মানুষ। এরা আওয়ামী লীগও করে না, বিএনপিও করে না। তাদের কি অপরাধ।’

তিনি বলেন, একইভাবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে খালেদা জিয়া গাইবান্ধায় সাত পুলিশ হত্যা করেছিলেন। বগুড়ায় আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। প্রিজাইডিং অফিসার হত্যা করেছিলেন। বিজিবি হত্যা করেছিলেন। সেই নির্বাচন যদি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে না হতো তাহলে আজকে দেশে থাইল্যান্ডের মতো মার্শাল ল হতো।’

১৪ দলের এই মুখপাত্র বলেন, ‘সে সময় আমার নেত্রী বলেছিলেন, হরতাল প্রত্যাহার করে আসুন। নির্বাচন নিয়ে কথা বলি। তিনি আসলেন না। হরতাল পালন করলেন। তাকে নেত্রী প্রস্তাব দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পাঁচটি মন্ত্রী দেব। কিন্তু তিনি আসলেন না। তিনি জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে জ্বালাও পোড়াও করেছিলেন। ২০১৩ সালের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত রোজ কেয়ামত হয়েছিল দেশে।’

৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পক্ষে সাফাই গেয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ৫ জানুয়ারি ভালো নির্বাচন হলে হয়তো ৮০ ভাগ ভোট পড়ত। প্রিজাইডিং অফিসার মারা গেছে। তারপরও ৪০ ভাগ মানুষ ভোট দিয়েছে। আমরা এমপি হয়েছি। মন্ত্রী হয়েছি। সরকার গঠন করেছি। ভালোভাবে দেশ চালাচ্ছি।’

মন্ত্রী বলেন, এখন খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবসের নামে দেশজুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। হত্যা জ্বালাও পোড়াও অব্যাহত রেখেছেন। এখন তিনি নির্বাচন নিয়ে আলোচনার কথা বলছেন। তার সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না। ২০১৯ সালে নির্বাচন বিশ্বকাপ খেলা হবে। সেই খেলায় শেখ হাসিনা গোল দেবেন। ১৪ দল জয়যুক্ত হবে।’

খালেদার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নেতাকর্মীরা ভুল করতে পারে। আপনিও ভুল করেছেন। তা স্বীকার করে, জঙ্গিদের ছেড়ে আসুন সুস্থ ধারার রাজনীতি করি।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক মিন্টু মিয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহম্মেদ, গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. মোয়াজ্জেম আলী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির যুগ্ম-সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য নজরুল ইসলাম হক্কানী প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই