‘এরশাদের দণ্ড বহালের চেষ্টা থাকবে’

রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়ে প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের একটি দুর্নীতির মামলা বর্তমানে হাইকোর্টে শুনানি শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে। এই মামলায় এরশাদকে বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ড যাতে উচ্চ আদালতে বহাল থাকে সে চেষ্টা থাকবে বলে জানিয়েছেন মামলায় নিযুক্ত দুদকের আইনজীবী।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর পক্ষে এই মামলায় নিযুক্ত আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘মামলাটি হাইকোর্টে শুনানির জন্য কার্যতালিকাভুক্ত হয়ে আছে। তাড়াতাড়িই এটার আপিল শুনানি শুরু হবে বলে আশা করছি। এই মামলায় হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে বিচারিক আদালতের দেওয়া কারাদণ্ড যাতে হাইকোর্টে বহাল থাকে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে দুদকের পক্ষ থেকে সে চেষ্টাই চালিয়ে যাব।’

আইনজীবীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১ কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি সেনানিবাস থানায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো।

বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় এরশাদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। তবে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে এরশাদ আপিল করলে তার তিন বছরের কারাদণ্ড স্থগিত হয়ে যায়। এরপর ২০১২ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই মামলায় পক্ষভুক্ত হয়। সর্বশেষ গত ২২ আগস্ট এই মামলার আপিলটি কার্যতালিকায় আনার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হলে পরবর্তীতে বিষয়টি কার্যতালিকাভুক্ত হয়।

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ হাইকোর্টের আদেশে এই মামলায় বর্তমানে জামিনে আছেন বলে জানান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।



মন্তব্য চালু নেই