এম.এ. ওয়াহাব -এর একগুচ্ছ কবিতা

“মুক্ত প্রবাহ” এম.এ. ওয়াহাব এর একটি কাব্যগ্রন্থ যা তিনি সদুর জার্মান থেকে স্ত্রী মোরশেদা খানম রীনা কে লিখে পাঠাতেন এবং তার স্ত্রীকে লেখা সেই প্রেমকাব্য পত্রগুলি তিনি ১৯৯১ সালে তার স্ত্রী মোরশেদা খানম রীনা বই আকারে প্রকাশ করেন।


“অবসর”
-এম. এ. ওয়াহাব

আজি এ অবসর একলা ঘরে
কেমনে কাল কাটাই
এপাশ ওপাশ খুঁজে কোথাও
সাথী যে কেহ নাই।
ঘরের নির্জনতা বাহিরে ঠান্ডা হাওয়া
মেঘের মুখখানি কালো
যখন তখন ঝরায় অশ্রু
চোখে নেই কোন আলো।
বেজায় রাগে মনে মনে লাগে
গিলবে গোটা দেশটি
পরিশেষে যে প্রবল বেগে কান্নায় পড়িল ফাটি।
আমি এখন কেমন করে
বাহির হবো বলো
তোমার অশ্রু ভিজায়ে যে দিল
চলার পথ যা ছিল।

বুলব্রুন, পশ্চিম জার্মানী
০২-০৮-১৯৮৯


“প্রবাসীর কান্না”
-এম. এ. ওয়াহাব

কত যে বেদনা জমা হলো আজি
ক্ষুদ্র হৃদয়ে মোর
কে আছে সুজন নিবে এ অভাজন
বাঁধবে প্রেমের ডোর।
তোমার কথা মনে পড়ে আজ
স্মৃতির পাতা ফুটে
সোহাগ যে কত দিতে অবিরত
মম তনু পুটে।

পশ্চিম জার্মানী
০৮-০৯-১৯৮৯


“কন্যা সম্প্রদান”
-এম. এ. ওয়াহাব

আজি এ লগ্ন
মিলনে মগ্ন
চারি আঁখি পাতে
খুশীর বন্যা
বহিল অনন্যা
মধুর প্রভাতে
ধন্য হও দুলামিয়া
আদুরে দুলালী নিয়া
যদিও আমি রিক্ত
আশীষ দানে তোমায়
ব্যস্ত অবিরত
যদিও আখি রবে শিক্ত।


“জীবন পাতা”
-এম. এ. ওয়াহাব

নানা বর্নে
নানা ঢংয়ে
সাজিয়েছ ডালিখানি
মনোহর! মনোমুগদ্ধকর!!
রয়েছে কি তাতে
জীবনের বাহার?
(আমার) জীবনকে করেছ বিকি কিনি
বানিয়েছো প্রদর্শনী
কি বুঝেছ?
এটা কি বাদর নাচানী?
আর কতকাল
করবে হয়রানী?
জীবনের পাশে ত কভু
দাড়াওনিকো তুমি
(সংক্ষিপ্ত)


“মুখোশ”
-এম. এ. ওয়াহাব

কাদের দিল সেতারে টান
জব্বার খাবি খায়, বাচাও জান
তবে বাঁচবে দেশের মান
আসল কথা কেউ করে না উদঘাটন
জমা, জমি, স্থাবর, অস্থাবর,
সবই মোর করে আন
দখল করে জুড়াই প্রান
বেহুদা ধর্মের স্লোগান
দুচার পয়সা উপায়ের ভান।
সপ্তবছর পরে আজ কেন পালান?
তোমার লোভ আর নির্বুদ্ধিতা দেখে
এ আভাষ দিয়েছিল বাপজান
মনে কি পড়ে হে ভাইজান?
(সংক্ষিপ্ত)



মন্তব্য চালু নেই