এবার পারলেন না সাকিব
আইপিএলের সপ্তম আসরে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে শিরোপা জিতিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কলকাতাকে চ্যাম্পিয়ন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার সুবাদে সেবার সেরা একাদশেও জায়গা পেয়েছিলেন তিনি।
এ ছাড়া আইপিএলের ইতিহাসে সেরা একাদশেও স্থান করে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের এই সেরা ক্রিকেটার। কিন্তু এবার আর পারলেন না সাকিব। আইপিএলের সেরা একাদশে জায়গা হয়নি তার।
সদ্যসমাপ্ত অষ্টম আসরটিতে তিনি খেলার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ৪টি ম্যাচ। তাকে না পেয়ে কলকাতার একাদশেও পূর্ণতা ছিল না। ক্লাবটির কোচ, অধিনায়কের কণ্ঠে ছিল সাকিবের জন্য হাহাকার। এ জন্যই হয়তো প্লে-অফের আগেই বিদায় নিতে হয়েছে কলকাতাকে।
এদিকে আইপিএলের অষ্টম আসরের সেরা একাদশের অধিনায়ক করা হয়েছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুুরুর বিরাট কোহলিকে। আর উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে রয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও আজিঙ্কা রাহানে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে এই একাদশে স্থান পেয়েছেন আন্দ্রে রাসেল।
এখানে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর খেলোয়াড়দের আধিপত্যই বেশি। মুম্বাই থেকে ৩ জন ও বেঙ্গালুরুর ৪ জন খেলোয়াড় রয়েছেন অষ্টম আইপিএলের সেরা একাদশে।
আইপিএলের অষ্টম আসরের সেরা একাদশ :
১. ডেভিড ওয়ার্নার (সানরাইজার্স)-৫৬২ রান, গড়-৪৩, স্ট্রাইক রেট-১৫৭।
২. আজিঙ্কা রাহানে (রাজস্থান রয়েলস)-৫৪০ রান, গড়-৪৯, স্ট্রাইক রেট-১৩১।
৩. বিরাট কোহিল (বেঙ্গালুরু)-৫০৫ রান, গড়-৪৬, স্ট্রাইক রেট-১৩১।
৪. এবি ডি ভিলিয়ার্স (বেঙ্গালুরু)- ৫১৩ রান, গড়-৪৭, স্ট্রাইক রেট-১৭৫।
৫ রোহিত শর্মা (মুম্বাই ইন্ডিয়ানস)-৪৮২ রান, গড়-৩৪, স্ট্রাইক রেট-১৪৫।
৬. আন্দ্রে রাসেল (কলকাতা)- ৩২৬ রান, গড়-৩৬, স্ট্রাইক রেট-১৯৩, উইকেট-১৪।
৭. পার্থিব প্যাটেল (মুম্বাই ইন্ডিয়ানস)- ৩৩৯ রান, গড়-২৬, স্ট্রাইক রেট-১৩৮।
৮. হরভজন সিং (মুম্বাই ইন্ডিয়ানস)- ১১ উইকেট, গড়-২৫, ইকোনোমি রেট-৭.৮।
৯, মিসেল স্টার্ক (বেঙ্গালুরু)- ২০ উইকেট, গড়-১৫, ইকোনোমি রেট-৬.৮।
১০. আশিস নেহরা (চেন্নাই সুপার কিংস)- ২২ উইকেট, গড়-২০, ইকোনোমি রেট-৭.২।
১১. যুগেন্দ্র চাহাল (বেঙ্গালুরু)-২৩ উইকেট, গড়-১৮, ইকোনোমি রেট-৮.৯।
মন্তব্য চালু নেই