এবার নড়াইলের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রডের বদলে বাঁশ!

নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের পিলারে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়ে পড়েছে। ২০০৩ সালে চারকক্ষের ওই ভবনটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে আতঙ্কের মধ্যে বিদ্যালয়ের ১৫২ জন শিক্ষার্থী ক্লাস করছে ওই ভবনটিতে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, হঠাৎ করে বিদ্যালয়ের একতলা ভবনটির পেছনের দিকের একটি পিলারে ফাটল দেখা দেয়। সেই পিলারে রডের বদলে আস্ত একটি বাঁশ দেখতে পান তারা। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় ছুটির পরে এক যুবক ওই পিলার থেকে বাঁশটি খুলে নিয়ে যায়। পঞ্চম শ্রেণির আল মামুন ও সালমানসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, ভবনটিতে তাদের ক্লাস করতে ভয় করছে। বাঁশ দিয়ে নির্মিত পিলার যদি ভেঙ্গে পড়ে। কয়েকজন অভিভাবকসহ এলাকাবাসী আশংকা প্রকাশ করে বলেন, অন্যান্য পিলারে যদি আরো বাঁশ থাকে। এখন এ ভবনের অবস্থা কী হবে?

প্রধান শিক্ষক কাজী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যালয়টি ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর ২০০৩ সালে চারকক্ষের ভবনটি নির্মাণ করা হয়। এ ভবনের পিলারেই বাঁশ দেখা গেছে। শনিবার (৪ মার্চ) বিদ্যালয়ে এসে দেখতে পাই, পিলারের সেই বাঁশটি কে বা কারা খুলে নিয়ে গেছে।’

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) লোহাগড়া উপজেলা প্রকৌশলী ওসমান গনি জানান, ‘এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ভবনটি তৈরি করা হয়। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও ঠিকাদারের নাম জানাতে পারেননি তিনি।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিদ্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি দেখেছি। এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে আর কোনো পিলারে এ রকম (বাঁশ) অবস্থা আছে কি না? এ ব্যাপারে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকেও করা অবগত করেছি।’

এর আগে গত বছরের ৮ এপ্রিল প্রথম সরকারী ভবনে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহারের অভিযোগ উঠে চুয়াডাঙ্গায়। জেলার দর্শনা পৌর ভবনের পেছনে ২ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্র ভবন। এ নির্মাণ কাজে প্রয়োজনীয় রডের পরিবর্তে বাঁশের চটা বা কঞ্চি ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। এর পরে পাবনা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটেসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রয়োজনীয় রডের বদলে বাঁশ ব্যবহারের অভিযোগ উঠে।



মন্তব্য চালু নেই