এবারের বিপিএলে ৪০+১৯+১+৫+৪৪ এভাবে ১০৯ রান করেছেন ৩ কোটি টাকার গেইল
বিপিএলের এবারের আসরে একেবারে শেষ দিকে এসেছেন খেলতে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচ পেয়েছেন চারটি এবং ইলিমিনেটর রাউন্ডের একটি- মোট ৫টি। এই ম্যাচগুলোর জন্য তাকে নাকি চট্টগ্রামের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে আসছে প্রায় ৩ কোটি টাকা দিয়ে।
আগের তিন আসরে ছক্কা মেরেছিলেন ৫০টি। সেঞ্চুরি করেছেন তিনটি। রান করেছিলেন ৫৪১। টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। তার ব্যাট হাতে উইকেটে নামার অর্থই হলো প্রতিপক্ষের বোলারদের একের পর এক মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া। একের পর এক চার আর ছক্কা।
সেই গেইল আসলে বিপিএলের চিত্র পাল্টে যাবে, তার দল চিটাগাংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারবে না কেউ। ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান পর্যন্ত ক্রিস গেইলের কারণে চিটাগাং ভাইকিংসকে সবচেয়ে শক্তিশালি দল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, চিটাগাংই হয়তো শিরোপা জিততে পারে।
গেইল আসার পর চিত্র পাল্টেছে। তবে তার ব্যাটে নয়। গেইলের সঙ্গে ব্যাট করতে নেমেই কেন যেন তামিম ইকবাল আরও বেশি জ্বলে উঠলেন। গেইল যে পাঁচ ম্যাচ খেললেন, এর মধ্যে চারটিতেই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তামিম।
গেইল নিজের প্রথম ম্যাচে ২৬ বল খেলে করেছেন ৪০। ছক্কা মেরেছিলেন চারটি। পরের ম্যাচে ১১ বলে ১৯ রান। ছক্কা একটি। নিজের তৃতীয় ম্যাচে ৬ বল খেলে করলেন মাত্র ১ রান। ছক্কা মারার তো প্রশ্নই আসে না। চতুর্থ ম্যাচে আরো বাজে পারফরম্যান্স। ১৫ বল খেলে করলেন ৫ রান। চার-ছক্কা এই ম্যাচেও ছিল না।
অবশেষে এসে গেইলের ব্যাট হালকা জ্বলে উঠেছিল। এলিমিনেটর রাউন্ডে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ৩০ বলে তিনি করেছেন ৪৪ রান। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৫টি ছক্কার মার। নিশ্চয়, ছক্কাগুলো দেখতে খুন নয়ন জুড়ানো। তবে, তিনি যে এই রান করতে ৩০টি বল খেলেছেন- সেটাই দৃষ্টিকটু। টি-টোয়েন্টিতে ৩০ বলে তার ব্যাট থেকে এর চেয়েও ঢের বেশি রান প্রত্যাশা করা যায়।
গেইলের ৫ ছক্কার পরও চিটাগাংয়ের রান ১৪২-এ আটকে থাকলো। যা আরেক ক্যারিবিয়ান ড্যারেন স্যামির ব্যাটিং নৈপুন্যে ঢাকা পড়ে গেলো। ২৭ বল খেলে ৫৫ রান করেছিলেন স্যামি। ৫ ম্যাচে গেইলের ফিগার দাঁড়াল ৪০+১৯+১+৫+৪৪ = ১০৯ রান।
৫ ম্যাচ খেলে একটি ম্যাচেও হৃদয়ে দাগ কাটার মত পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি গেইল। তাকে নিয়ে যে প্রত্যাশা, সেটা তো মোটেও পূরণ হয়নি। একই সঙ্গে যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স করে চিটাগাংয়ের পরাজয়ে দারুণ অবদান রেখেছেন তিনি।
মন্তব্য চালু নেই