এবছরই সমাধান হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রহস্যের
২০১৬ গোটা বছরটাই বিজ্ঞানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বছর হতে চলেছে৷ কারণ, এবছরই বিশ্বের বড় বড় কয়েকটি রহস্যের সমাধান হতে চলেছে৷ অন্তত এমনটাই মনে করছেন তিন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী৷ না, ভুল কিছু পড়েন নি। ঠিকই পড়েছেন, একটি নয়, অন্তত তিনটি সবচেয়ে বড় রহস্যের উপর থেকে পর্দা সরে যাবে এবছরই৷ কণা-পদার্থবিদ গেভিন হেস্কেথ, পরিবেশের আচরণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ লুস জেন্টল ও রসায়নবিদ সিমন কটন এবছরের সবথেকে বড় তিনটি রহস্যের পর্দাফাঁস হয়ে যাবে বলে মনে করেন৷ সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
প্রথমত, যেমন ধরা যাক ইয়েতি বা বিগ ফুট রহস্য। বাংলাতে ইয়েতি আর ইংরেজিতে বলা হয় ‘বিগ ফুট’। মূল কথা হল, তুষারবৃত পর্বত এলাকায় বা গভীর অরণ্যে কি সত্যি ইয়েতি বা বিগ ফুটের মতো বৃহদাকৃতির কোনও প্রাণী রয়েছে? নাকি পুরো বিষয়টিই কল্পনা? তাদের কি সত্যি চোখে দেখা যায়? এক বিশেষ ধরনের ইনফ্রারেড ক্যামেরার সাহায্যে এবছরই সেই রহস্য ফাঁস করার দাবি করেছেন ওই তিন বৈজ্ঞানিক৷ যে ক্যামেরা তারা ব্যবহার করার কথা বলেছেন, সেই ক্যামেরা ব্যবহার করেই সম্প্রতি চীনে এই প্রথম ‘অ্যামর লেপার্ড’ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে৷ যার খোঁজ চলছিল গত ৬২ বছর ধরে৷ ওই তিন বৈজ্ঞানিক মেল অনলাইনকে জানিয়েছেন, ইনফ্রারেড ক্যামেরাগুলি রিমোটের সাহায্যে দূর থেকে পরিচালিত করা যাবে৷ মানুষের উপস্থিতির কোন প্রয়োজন নেই৷
দ্বিতীয়ত, এই মহাবিশ্বে পৃথিবী ছাড়াও অন্য কোনো গ্রহে জীবনের অস্তিত্ব রয়েছে কি না, সেই রহস্যেরও এবছর সমাধান হতে চলেছে৷ নাসার পাঠানো ‘মার্স-রোভার’ ছাড়াও এই মুহুর্তে আরও অন্তত ৭টি মহাকাশযান মঙ্গল-সহ অন্যান্য গ্রহগুলিতে প্রাণের খোঁজ চালাচ্ছে৷ মঙ্গল ছাড়াও বৃহস্পতি, শনির উপগ্রহ এনসেলাডসে প্রাণের খোঁজ পাওয়া যেতে পারে বলে জোরেসোরে গবেষণা চালাচ্ছেন গবেষকরা৷
তৃতীয়ত, যে বড় রহস্যের এবছরই সমাধান মিলতে পারে বলে মনে করছেন বৈজ্ঞানিকরা, সেটি হল ‘ডার্ক ম্যাটার’৷ মহাকাশে অজস্ত্র ডার্ক ম্যাটার বা নিকষ কালো, অন্ধকার শূন্যস্থান রয়েছে যার জন্ম-রহস্যের সমাধান আজও মেলেনি৷ এবছর তিনটি বড় রহস্যের উপর থেকেই পর্দা সরে বাস্তব ঘটনা সকলের চোখের সামনে চলে আসবে বলে মনে করছেন ব্রিটিশ বৈজ্ঞানিকরা৷
মন্তব্য চালু নেই