এতো খারাপ নির্বাচন কেউ দেখেনি : মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সেই বিট্রিশ আমল থেকে এতো খারাপ নির্বাচন মনে হয় এ দেশের কেউ দেখেনি। এই নির্বাচন শুধু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কুলষিত করেনি সমগ্র নির্বাচন ব্যবস্থাকে পরিকল্পতিভাবে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে।
শনিবার রাত ৮টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে পৌর বিএনপির এক বর্ধিত সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে তারা কোন দিনও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়নের মাধ্যমে গণতন্ত্রের সমস্ত স্তম্ভকে ভেঙে দিয়েছে। দেশকে এ অবস্থা থেকে বের করে আনার জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বাজেটে অর্থমন্ত্রী খুব জোর গলায় বলেছে উচ্চ বিলাসী বাজেট তিনি বাস্তবায়ন করতে পারবেন। কিন্তু দুভ্যাগের কথা গতবারেও তারা বাজেট দিয়ে বলেছিলেন আমরা বাজেটের সবকিছুই অর্জন করবো কিন্তু তারা পারেনি। রাজস্ব আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছিলেন তা অর্জিত হয়নি।
ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করে না। আপোষ করে না। জিয়াউর রহমানের মতো স্বাধীনতার পতাকা নিয়ে আন্দোলন করছেন খালেদা জিয়া। তিনি ত্যাগ স্বীকার করছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের জন্য কাজ করছি। হ্যাঁ, আমাদের কিছু ত্রুটি থাকতে পারে তবে গণতন্ত্রের জন্য আপোষ করবো না।’
পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মামলা দিয়ে কিভাবে খালেদা জিয়াকে অভ্যন্তরীণ করা যায় সে কাজ করছে সরকার। সব ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। যা কিছু ঘটে সব বিএনপির ওপর চাপানো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেই বলে আওয়ামী লীগ নেতারা বক্তব্য দেয় অথচ প্রতিটি বক্তব্যে বিএনপিকে প্রতিপক্ষ বানানো হচ্ছে। ভিন্নমত পোষণকারীদের হত্যা করছেন আপনারা। অথচ বিএনপিকে দোষারোপ করেন।’
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন ঠাকুরগাঁও পৌর মেয়র মির্জা ফয়সাল আমিন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তৈমুর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম ও সাধারণ সম্পাদক তারিক আদনান প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই