ছোট গল্প / নাটিকা
এড্রেস অব বিচ বাস্টার্ড
ছোট টেবিলে উপড়ে কিছু বই আছে ইংরেজী বাংলা কবিতা ও উপন্যাসের। অনেক আগের জমা করা। যে সময়ে এসবেরর প্রতি টান ছিলো। কলেজ বা স্কুল জীবনের শেষের দিকে। সে সময়ে সেক্সপিয়ারের টেম্প্রেস্ট পড়ার পরে নিজের মাঝে একটা আলাদা মানুষ অনুভব করা হয় যেনো সেই নায়ক। অন্যদের সাথে বড়ো বড়ো ভাব নিয়ে কথা। আবার রোমিও পড়ার পরে অন্য একটি অনুভূমি যেনো প্রেমিকের মতো লাগে নিজেকে। কোন মেয়েকে দেখলে মনে হয় সে যদি জুলিয়েট হতো আমি হতাম রোমিও। আবার কাজী নজরুল ইসলামের লেখা পড়লে অন্য অনুভূতি। এ ছিলো সে জীবনের কথা।
এখন বেশ বড়ো হয়ে গেছেন লেখক। ছোট্ট একটি ল্যাপ্টপ আছে টেবিলে, মাধেমাধে কিছু মনে হলে টাইপ করা হয়। খাতা বা কলমের প্রয়োজন পড়ে না। আজকে কি যেনো মনে হলো। অজানা একটি ভাবের কারনে কিছু একটা লিখতে মনে হলো লেখকের। কি হবে সুস্টি তা জানে না তবে কিছু একটা তৃপ্তিকর হবে। পাশের রান্না ঘর থেকে মাঝারি মগে আদা চা বানিয়ে এনে বসলেন টাইপ করতে। টেবিলটা জানালার পাশে, কিন্তু জানালা দিয়ে কোন সবুজ গাছ বা আকাশের চাঁদ দেখা যায় না সন্ধ্যা হলে। কেননা লেখকের জন্ম একবিংশ শতাব্দীর সময়ে। কি নিয়ে লেখা যায়. .? তাই ভাবছেন। দু একটা চুমুক দেবার পরে একটু পায়চারি. . .হা এসেছে। সমাজের বাস্টার্ড দের নিয়ে যদি লেখা যায়, কেননা এদের নিয়ে কেউ রিখেনা। বরং এদের সবাই টোষামদি করে। কারন উপরে উঠতে হলে এদর রেফারেন্স লাগে, তাই এদের সাথে মজা নিয়ে থাকতে হয়। আমি আজ তাদের নিয়ে লিখি. . . ভাবলেন লেখক।
তখন সনধ্যা ছ‘টা, বেশ শীতের রাত। তাই চারপাশে নিঝুম। বেশী দূর লিখতে গিয়ে একটু ভাবছেন কোথা হতে কি ভাবে শুরু করা যায়। সবে মাত্র ছাব্বিশ লাইলে টাইপিং শুরু হতেই নিন্দ্রায় কিছুটা অবছন্ন হলেন বা গভীর ধ্যানে কিছু ভাবছেন। লেককের বয়স এখন প্রায় পচ্ধাসের কাছাকাছি। তাই একটুতেই হপাপিয়ে যান। কে যেনো কথা বলছেন, ভালো আছো লেখক?
- কে, ভেতরে আসুন। লাইটটা অফ আছে ভয় পাবেন না,
- হ্যা আসছি, এ পথ আমার চেনা আছে আপনি উত্তেজিত হবে না দয়া করে ( বেশ কৌতুকের ছলে)
- তহলে চলেই আসুন
হয়তো বা চেনা মুখ। না চেনা হলেও সম্যা নাই। লিখবার সময় তো এমন গল্পের কেউ আসলে ভালোই হয়। যদ্দুর মনে হয় সবে মাত্র তরুনী বয়স থেকে মহিলা হবার পথে পা দিচ্ছেন বয়স দেখে বোঝা যায়। এ বয়সে মেয়েদের কবিতা পড়ার একটু ঝোক থাকে আবার মাধেমাধে রবীন্দ্র সংগীত নিজেরে আমিত্ব খুঁজতে চেস্টা করে। তাই কবিদের সাথে থেকে ভালো বোধ করে।
- কি লিখছেন?
- না, চেস্টা করছি, একটা ভালো কন্সেপ্ট এসেছে মাথায়। কিন্তু সাজাতে পারছি না।
- সেয়ার করা যায়. . .? যদি. . .
- হ্যা. . হে যায়, আসলে নাম দিতে চাই বিচ ওর বিচ বাস্টার্ড, পরে ভাবলাম গল্পের গঠন গতো দিক দিয়ে হয়তো নাম যদি এড্রেস অব বিচ বাস্টার্ড দেই ভালো হয়।
- আমি মনে হয় আইডিয়াটা ধরতে পেরেছি, সমাজের ওদরে নিয়ে তো. . !
- রাইট. . ইয়াপ, ইউ আর ইন্টেরিজেন্ট।
- বাট নট ইউ আর . . .
- কেনো? আবি আবিস্কারক , আমি নট ইন্টেরিজেন্ট, আর আপনি এসে উইটনেস দেখাচ্ছেন?
- তা পরে বুঝিয়ে বলছি, বা আপনি নিজেও বুঝতে পাবেন , আগে পড়ুন কে কে আপনার পাঠক. .
- অবশ্যই পাঠক হবে। একজন পড়বে, ভালো লাগলে অন্যজনকে দেবে, এভাবে সমাজ টা ভালো করতে সাহয্য করবো।
- কেউ পড়বে না,
- ধুর কি যে বলেন। রবীন্দ্র-নজরুল-হেমন্ত-সেক্সপিয়ার-কি্ড্স পড়ছে না, আমি তাদের মতো না তবে পড়বে তো কেই না কেই. . আপনি শুধু শুধু মাতব্বরি করছেন . .
- গল্পের শুরুতেই আপনার ধারনা ভূল. . .
- কোনটা. . ! নাম..?
- না
- তো,
- ভূল বলছেন, রবীন্দ্র-নজরুল-হেমন্ত-সেক্সপিয়ার-কি্ড্স আরও আছে না সুফিয়া কামাল, বিবেকানন্দ এদের আজ আর কেউ পরে না। শুধু এরা আছে তাই জানে কেউ কেউ। কেউ পরে না। তবে নানান বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবজেক্ট হিসেবে সিলেবাসে আছেম সেটাকে তো পড়া বলিনা, সময় পাস আর ছাপা পৃষ্ঠা নিয়ে আড্ডা দেয়াটাই বুঝায়। আর আপনার মতো . . এ লেখকের ঠিকানা কেথায় জানেন
- কেথায় . (মানসিক ভাবে ভয় পেয়ে)
- (কিছু সময় লেককের দিকে তাকিয়ে, এককু মৃদু হেসে) কোন এক খবরের কাজের পাতায় আর কিছুদিন পরে মুড়ির ঠঙ্গায়। তার পরে ড্রেনে আবার জাল দেবার উপকরন হিসেবে।
- আপনি এসে তো আমার লেখাটাই থামিয়ে দিলেন, আর হবে কিনা জানিনা, না হবে, আমি তাও লিখবো
- বাস্টাড দের এড্রেস জানেন?
- ও বুঝিয়ে দেবো কথার মাঝে।
- ঠোঁটে লিস্টিক দিয়ে যে মেয়েটা বসে আছে বাগানের মাঝে সে কোন ছেলের ইশারায় নারিত্ব স্বাধ নেবে, তার প্রতিটা সময় যায় বাসনা। তাই হয়তো মাঝেমাঝে কবিদের কবিতা পড়তে হয়। যে যুবক ছেলেটা ঘর থেকে বের হয়েছে . . .( চেয়ার তেকে উঠে একটু হেটে যায় জানালার দিকে)
- বলুন, শুনছি, দেখি কি এড্রেস আপনার নিজের, আমি লিখেই ছাড়বো আজকে।
- . . সে যুবক কোন যুবতীর পশ্রয় পেলে নিজের পুরুষত্বা দিয়ে সাধ নিতে চাইবে। যে গৃহিনী সকালে ঘুম থেকে উঠে রান্না ঘরে রান্না করেন তার চিন্তা সারাদিনের রান্না কি করে হবে তার ঘরে। যে বাবা বা স্বামী সকারে ঘর থেকে বের হয়ে কাজে গেছেন তার চিন্তা মাসের শেষে ভালো ইনকাম করা। যে প্রকাশক টাকার জন্য প্রেস চালায় সে আপনার লেখার অর্থ বুঝবে না, সে ছাপবে অন্য কিছু। যে বিদ্যা দেয় সে চায় ছাত্র আরো টাকা দিক ও প্রাইভেটে আসুক। বলুন তো এদের মাঝে কাকা বিচ-বাস্টাড বা আপনার পাঠক সমাজ. . ?
বেশ কিছুট সময় তাকিয়ে চিলেন লেখকের দিকে আর লেখক চুপ। একটু পরে নড়ে চরে. . .
- আরে এদের কি কোন নির্দিস্ট এড্রেস আছে নাকি, তা হয়না, এরা তো. . . এদের মাঝে ভালো মন্দ আছে, এদেই মাঝেই আছে বিচ আবার এনজেল।
- আপনকে দিয়ে লেখা টেখা হবে না।
- হবে , রিখবো, একজন হলেও পড়বে. . তা থেকে বড়ো হলো নিজের কাজে প্রশান্তি তো পাবে। রাজ পথে যচ্ছে দামি গাড়ী দ্রূত বেগে, এদের পেছনে মানুষদের কথা বলবো, ভেতরে আছে এরে সন্তান, বোঝে মানুষের কি কাজ কেনো জন্ম, তাদের কথা বলবো. . আমি সমাজ সেবিকাদের কথা বলবো যারা বিদেশী সাহায্য নিয়ে নিজেদের অর্থ বানায় গরীবদের সাহায্য করে না, আমি ভালো-মন্দ স্বভাব নিয়ে বলবো. . .
- হা হা হা . . হসতে মানা নেই তো?
- তাতেও সমস্যায়? আপনার এত্তো জ্ঞান তো আপান কিভাবে এত্তো জ্ঞানি হলেন শুনি. . .
- আমি জ্ঞানি না, জান্তা. . আমি জানি তাদের কথা
- কাদের . .
- ঐযে বললাম, কিরোরীদের কথা তাদের ভূল, আমি কিশোরী ছিলাম, আমি বলেছিলাম তরুনীদের কথা যারা লিপস্টিক দিয়ে আর সেজে বসে থাকে, আমি তরুনী ছিলাম। আমি বরেছিলাম গৃহনীর কথা আমি গৃহিনী ছিলাম। আমি প্রেমিকা ছিলাম কারও, মিতালী করেছিলাম কখনো, কস্ট দিয়েছি আবার পেয়েছি, অর্থ দিয়েছি আবার নিয়েছি, আমি লজ্জা ঢেকেছি আবার কথনো সব দিতে বরের কাছে হার মেনেছি। তাই আমি জানি ওদের এড্রেস টা কি. .
- তো আপনি কেনো লিখছেন না? কেনো ধরিয়ে দিচ্ছেন না সমাজে?
- কারন আমি আপনার মতো বোকা নই তাই. . .
- ধুর. . আপনি এক ঘেয়েমো .. অসহ্য. . আপনার ভেতরে মন নই, নাই ক্রিয়েটিভ কিছু করবার . .
- হয়তো নাই। তবে যা আছি বুঝেমুনে আছি, আপনার মতো না বুঝে উলুবনে মুক্তা খুঁজবার ইচ্ছে আমার নাই। আমি যাবো। আজ আর থাকতে পারবো না। আবার হয়তো আসবো, বা আসবো না। যাবার আগে একটি প্রশ্ন করে যাই, যদি উত্তর পান কথনো আবার আসবো, আর না পেলে আর আসবো না।
- উত্তর টা পেলেও নিজেই নিজে বুঝবো , তবে আপনাকে বরবো না, আপনি আসলেই যত্তো মুসকিল।
মনে হলো চায়ের কাপের কথা। একটু চুমুকের কথা। হাতটা বাড়িয়ে কাপটা ধরতে চাইলেন। পারছেন না, কেনো জানি হাতে আটকাচ্ছে না। কি ব্যপার রাগ করে তাকাতেই চোখ খুলে যায়। ও এতোটা সময় তিনি তন্দ্রায় আচ্ছন্ন ছিলেন। কতোটুকুন টাইপ করেছেন খেতে গিয়ে অবাক। না, আজ আর কেনো জানি হচ্ছে না। কারা আমাদের সমাজের বিচ কারা ভালো মুখসের রূপ নিয়ে টিকে আছে বছরের পর বছর। এদের সংখ্যা এখন বেড়ে গেছে তাই এরাই এখন আদশ হয়ে আছেন। এরাই যেনো এখন মানদন্ড।
রাস্তায় গতিবেগে চলন্ত গাড়ীটি থেমে ভেতরের কীট টাকে যদি জিজ্ঞেস করা যায় কি করেন তোমার বাবা, কতো বছর বয়স তোমার যে একটি মিশুর সাথে কালো কাঁচের ভেতরে যৌন মহে আছো ব্যস্ত, সে কি বলবে তার বাবা ঘুষ খর, বাবা রক্ত চোষা কেউ। আজ হয়তো বলবে না। কিছুটা লজ্জা পাবে সে। কিন্তু সে দিন দেড়ী নাই যেদিন এদের প্রতিযোগিতা হবে। রক্তচোষকদের সেরা হবার জন্য বকবকিয়ে বলবে তাদের অপকর্মের কথা। আমি শীশু পাচার করেছি, মানুষদের ঘুমানোর অষুধ দিয়ে কিডনি কেটে নিয়েছি, মর্গের লাশটা বদলিয়ে জীবন্ত মানুষকে লাশ বলে চালিয়েছি. এভাবে যারা বেশী প্রমাণ দিতে পারবে তারা হবে প্রথম শিরোপার নামধারী। সেদিন দেড়ী নাই। আমাদের দেশেই হবে এমন প্রতিযোগিতা যদি না এদের এড্রেসটা আজ আমি রিখে যায়। ভাবছেন লেখক। কিন্তু তন্দ্রার মাঝে তাকে বোকা বররেন সে মহিলা তা বুঝতে পারছেন না।
কেনো সে বোকা, সে তো মন্দ কিছু ভাবছেন না। সনধ্যা বাড়ছে। দেয়ার ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে দেখলেন সাড়ে সাতটা। ল্যাপটপের চজ কমে গেছে। তাই চার্জারটা দিয়ে ঘর থেকে বের হলেন। হয়তো রান্না ঘরের দিকে যাচ্ছিলেন হয়তো চা আবার গরম করবার জন্য। কিন্তু ধব-ধব শব্দ আসছে। হয়তো কজনে মিলে নাচছে, নাকি গান করছে। এমন ধরনের সোরগোল। কোথা তেকে আসছে. . . ঠিক ঠাওরাতে পারছেন না। হা উপরের দিকে থেকে আসছে। ছাদে? না , কেউ তো থাকবার কথা না। তাও শব্দ তো ক্রমশ বাড়ছে। দেখে আশা যাক ভেবে বাইরের ঘর তেকে শীতের পোশাকটা গায়ে দিয়ে দরজা দিয়ে উপরের দিকে যাচ্ছিলেন। নিচের সঁড়িতে থেকে উপরে নজরদিয়ে বুঝলেন দরজা খোলা। হা ছাদে এক দল আছে। যাক হয়তো এলাকার ছেলেরা নাটকের রিয়ের্সেল করছে।
ছাদে গিয়ে দাড়ালেন, এদিকে সেদিকে অনেক ছেলে মেয়ে। তারা দল বেধে নানান ভঙ্গিতে কোন গড়নে নাচছে আর আবৃতি করেছ,
আমি চেয়েছিলাম গড়তে তেমনি বান্ধবী করে তুলতে,
আমার বিয়োগে বাঁধবে সাদা ফিতের বেনী রাঙ্গাবে ধূসর তুলিতে।
আমি যেনো সবার মাঝে খুঁজে খুঁজে ভীড় কাটিয়ে লিখি গদ্য;
বাঁকে বাঁকে সুযোগ পেলে ভাসিয়ে দেই রাঙ্গানো ভেলা,
চেষ্টা করি সাথেসাথে ছন্দ দিয়ে কবির ছদ্যবেশে খেলা,
কবিতা লেখা যায় কিছু ভাবতে ভাবতে একলা বসে।
আবার ওপাশের মেয়েটা আবৃতি করছে,
প্রথমা, শেষ প্রার্থনা
দ্বিতীয়া, শুরু যন্ত্রনা
তৃতীয়া, হলো সূচনা
ইনফিনিটি, শুধু কলাপনা।।
গেটশোভার মৃত্যূ যাত্রা,
মধ্যমের পানের মাত্রা
ধ্বংসের দীর্ঘ শ্বাস
অগ্রাহানের নির্যাস।
টিপটিপ টুপটুপ রক্ত পড়ে
উপুর থেকে নিচে
স্রোত কেনো বহে সম বেগে।
কাষ্ঠের রং কি
ছায়ার জীবন কি
এমিবারেোধ কি
পত্রের ঘ্রাণ কি
কেনো আসে প্রশ্ন।
আর এ পাশের একটি চেলে একা একা আবৃতি করছে,
কোন দেশ নয়, সমগ্রবিশ্ব শাষন করবার মেধা আছে আমার
অর্থ নাই,
মনের পিস্তলে বিষাক্ত বুলেট আছে ধ্বংস্ব করতে পারে সাজানো নাটক
অ্যাপ্লিকেশনের পাওয়ার নেই।
আমি লখতে লিখতে শেষ করে দিতে পারি সব দিস্তা
পড়বার কেউ নাই।
বলতে পারি স্লোগান দিতে পারি মনোবল সংগ্রামের পথ করতে পারি উত্তাপ
আমার ভালো কণ্ঠস্বর নেই।
আমি চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দিতে পারি প্রেম
কোন ঠোঁট নেই।
সবুজে ভরিয়ে দিতে পারি প্রতিটি অনাচ্ছাদিতো ভূমি
আমার কোন স্থান নাই।
বিশ্ব ভ্রমণের সাহস আছে আমার,
ভালোই লাগছিলো। কিন্তু একবার জিজ্ঞেস করলো , হ্যালো, এই তোমার কোথা থেকে এসেছো. . বেশ তো করছো। কি করো তোমরা।
তারা থামলো, জি বলুন। সবাই লেখকের দিকে তাকিয়ে আছে। আবার ররেন, তোমাদের তো আগে দেখিনাই। তবে বেশ করছো তো। কে তোমার বরবে কি?
সামনে একটি ছেলে ছিলো এগিয়ে বললো, আমরা ছিলাম তরুনের দল আর আরো থাকতে চাই তাই তার প্রয়াস খুঁজে যাচ্ছি।
ছিলে মানে? ( কৌতুকের চলে বললেন. . .) এখন বুঝি বুড়ো হয়ছো। পেছনের একটি মেয়ে বেশ জোরে বললো আমি ছিলাম তরুনী বা কলেজ পড়ুয়াদের কেউ। সাথে সাথে পাশে একজন ছিলো। সে বলে, আমি ছিলাম গৃহিনী, আমি সমাজ সেবিকা। আমি কোন দরেরই না।
তাদের বলার পরে সামনে দিকের ছেরেরা বরতে শুরু করলো, আমি ছিলেম কবি, আমি রক্তচোসকের দল, আমি র্নিাক দলের কেউ।
তো তোমার বারবার ছিলে বা ছিলাম বলছো কেনো?
আমরা তো ছিলামই, এখন নাই। তবে ম্যাডামের কাছে ডকে এসেছি। ম্যাডাম বররেন আজকে সারা রাত একটি গল্পের প্রাকটিস করবো। সবাই এসো।
কে তোমাদের ম্যাডাম. . .?
বলতেই পেছন থেকে একটি মহিলা,
- কি ব্যপার লেখক আপনি ছাদে এসেছেন যে, আপনার টাইপং শেষ?
পেছনে ফিরে দেখেন সেই মহিলাটা, যে তন্দ্রার মাঝে তাকে বোকা বরেছেন।
- আপনি? এদের ম্যাডাম?
- হা আমি। চালাকদের একজন। বুঝি, শুনি, বলি, করি . আর মুখ বুঝে সহ্য করি। আর ও পারে যাবার পরে সমাজ নিয়ে ভাবি আর এদের ছাড়পত্র পাবার সাথেসাথে ডেকে নিয়ে আসি। গল্পের আয়োজনে অভিনয় করি। আপনি বরং নিচে যান। আমাদের কাজ করতে দিন।
- হা , আমি যাই। চালাকের দলে আমি থাকতে চাইনা। আমি বোকাই ভালো আছি।
আবার ঘরে আসলেন লেখক। ল্যাপ্টপটার সামনে গেলেন। যতোটুকুন লিখেছিলেন আবার পড়লেন, এড্রেস নিয়ে ভাবছেন। থেমে থাকলে চলবে না। লিখতে হবে, জানাতে হবে। কিন্তু আসলেইতো কাদের জানাবো, কে হবে সৈনিকের দল। মৃত্যুর পরে কি তাহলে রিহের্সাল করা হবে। তারা এখন কেনো করছে, কেনো আগে করেছি, কিসের সম্যা ছিলো রিহের্সাল করবার? ওদের সবই ভূল ওরা সবাই বোকা। আমি তো ভাবছি ওরা তো তাও ভাবেনাই। মিথ্যা বরেছেন কি হিলাটা , আমি বোকা কিনা।
মন্তব্য চালু নেই