এটাই মাহির শ্বশুর বাড়ি, ভেতরে যা যা রয়েছে…
জীবনে অসংখ্যাবার বিয়ের সাজে সেজেছিলেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি। তবে সেটা ছিল চরিত্রের প্রয়োজনে ক্যামেরার সামনে। আর এবার তিনি বিয়ের সাজে সেজেছেন জীবনের প্রয়োজনে।
রূপালী পর্দা ছাপিয়ে এবার প্রথমবারের মতো কনে সাজে সাজলেন মাহি। ক্রিম কালারের কারুকাজখচিত লাল পাড়ের শাড়িতে বউ সেজেছেন মাহি। হলুদের অনুষ্ঠানে মাহিকে দেখা গেছে হলদে রঙ শাড়িতেই। হাতভর্তি মেহেদীর আল্পনা সেজেছেন তিনি।
মাহির পাত্র সিলেটের কদমতলীর ব্যবসায়ী মাহমুদ পারভেজ অপু। চার বছর ধরে একজন আরেকজনকে চেনেন। তবে বিয়েটা করছেন পরিবারের পছন্দেই। তাদের পরিচয় থাকলেও উভয় পরিবারের সম্মতিতেই মাহি এবং অপুর বিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে।
মাহমুদ পারভেজ অপু সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কদমতলী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নানের ছেলে। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বড় ভাই লন্ডন প্রবাসী এবং বাকি দুই ভাই লেখাপড়া করছেন।
অপু দীর্ঘ দিন থেকে তার বাবার কয়লা ব্যবসার ও দুটি ইট ভাট্টার ব্যবসা দেখাশুনা করেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের ভেতরে থাকলে বাড়ির পরিবেশ অনেকটা গ্রামের অঞ্চলের মতো। কদমতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় আদা কিলোমিটার দূরে অপুর বাড়ির অবস্থান। গোলাপগঞ্জ বিয়ানীবাজার সড়কে গিয়ে অপুর বাড়িতে যেতে হয়।
বাড়িতে কোন সীমানা পাচীর নেই। তবে বাড়ির প্রবেশ মূখে একটি পাকার স্তম্ভতে ‘স্বর্ণশিখা’ আ/এ, বাড়ি নং ১৪০, ব্লক ‘এ’ লেখা রয়েছে। এছাড়াও বাড়ির প্রবেশ মূখে একটি বড় পুকুর রয়েছে। পুকুর পাড়ের দক্ষিন দিকে রয়েছে বাঁশ, পূর্ব পাড়ে ফল ও সুপারি গাছ রয়েছে। প্রবেশ মূখে থেকে বাড়ির আঙ্গিনা পর্যন্ত রাস্তার দু’পশে সাড়িবদ্ধ সুপারি গাছ লাগানো হয়েছে। পাহারাদারদের জন্য রয়েছে একটি ঘর। রয়েছে গাড়ি রাখার একটি গ্যারেজও।
একতলা বিশিষ্ট মাহির শ্বশুর বাড়িতে রয়েছে অনেকগুলো ফুল ও ফলের গাছও। বাড়ির পুকুর পাড়ের উত্তর দিকে রয়েছে সিঁড়ি। সেই সিঁড়িটি দেখাতে অনেক সুন্দর।
বিয়ে প্রসঙ্গে মাহি বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে খুব ভালো মনের একজন মানুষকে স্বামী হিসেবে পেয়েছি। অপু গ্রামের সহজ সরল সাধারণ একজন মানুষ। এমন একজন মানুষই আমার জীবনে আমার পাশে চেয়েছিলাম। আল্লাহ আমার সেই ইচ্ছে পূরণ করেছেন।’
নায়িকা বলেন, বুধবার দুপুরে আকদ হলো। অনেক ফুরফুরে লাগছে নিজে। নতুন জীবনে পা দিলাম। সবাই দোয়া করবেন।’
এর আগে রাতে সাদামাটা আয়োজনে হলুদ সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছিল। হলুদ সন্ধ্যায় মিডিয়ার কেউই ছিলেন না। এমনকি মাহির সবচেয়ে ঘনিষ্টজনদেরও দেখা যায়নি। শুধুমাত্র কাছে কয়েকজন বন্ধু ছিলেন।
এদিকে মাহির গায়ে হলুদ ও আকদ অনুষ্ঠানের বিশেষ কিছু ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তার বোন ফাহমিদা রূপন্তী মৌ। সেখানেই দেখা গেল মাহিকে কনে সাজে। ছবিতে মাহিকে দারুণ উৎফুল্লই লাগছিল।
প্রসঙ্গত, এর আগে বন্ধুর সঙ্গে বিয়ের গুজব ওঠে মাহির। এছাড়া প্রযোজক আবদুল আজিজের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন ছিল মাহিকে নিয়ে সিনেমা পাড়ায় আলোচিত ঘটনা। সম্প্রতি আবদুল আজিজ মাহির সঙ্গে তার প্রেমের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, আজিজের এমন তথ্য ফাঁসই মাহিকে গোপনে ত্বরিৎ বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করেছে।
মন্তব্য চালু নেই