এজলাসে খাবারের প্যাকেট নিয়ে নূর হোসেনের হাতাহাতি
খাবারের প্যাকেট নিয়ে আদালত এজলাসে নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলার আসামি নূর হোসেনের সঙ্গে অপর আসামি র্যাবের হাবিলদার এমদাদ হোসেনের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার বেলা আড়াইটায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচার কক্ষের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। পরে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য উভয়কে শান্ত করেন। আদালতের এজলাসে নূর হোসেনের আচরণে হতবাক হয়ে যান উপস্থিত সবাই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তার জেরাগ্রহণ শুরু হয়। বেলা দেড়টা থেকে পৌনে ৩টা পর্যন্ত বিরতির সময়ে নূর হোসেন, র্যাবের চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তা তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন ও এম এম রানাসহ ২৩ আসামি গারদখানার ভেতরে ছিলেন। বিরতির সময়ে তাদের জন্য ২৩ প্যাকেট বিরিয়ানির প্যাকেট আনা হয়।
এ সময় এমদাদ খাবারের প্যাকেট না পেয়ে হৈ চৈ শুরু করেন। তখন নূর হোসেন এমদাদকে ধমক দেন। এমদাদও নূর হোসেনকে পাল্টা ধমক দেন। এতে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে আসামি র্যাবের হাবিলদার এমদাদ হোসেনকে নূর হোসেন ধাক্কা দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিক নূর হোসেনের পক্ষে তার সহযোগী মর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদসহ অন্যরা এমদাদকে মারধর করেন। এ সময় এমদাদের পক্ষে র্যাবের চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তা তারেক সাঈদ, আরিফ, এম এম রানা নীরব ভূমিকা পালন করেন। তখন দায়িত্বরত পুলিশ এসে তাদের শান্ত করে।
আদালতে ডিউটিরত নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ সদস্য জানান, আদালতে হাজির হওয়া ২৩ জনই সাত খুন মামলার আসামি। সব আসামিকে কাঠগড়ায় রাখা হলেও অসুস্থতা অজুহাতে নূর হোসেনকে কাঠগড়ার বােইরে বসিয়ে রাখা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেরার বিরতির সময় খাবার নিয়ে র্যাবের এক সদস্যকে নূর হোসেন ধমক দেন। এতে করে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতে আসামিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজালাল বলেন, খাবার নিয়ে আসামিদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়েছে। তখন হয়তো ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে।
মন্তব্য চালু নেই