এক সেলফিতেই ইনি এখন ‘সুপারহিট’

‘ইন্টারনেট সেনসেশন’ হতে গেলে কী দরকার? বা সোশ্যালি ভাইরাল হতে আপনার কী কী গুণাবলী প্রয়োজন? তেমন কিচ্ছু না। একটা সেলফিই যথেষ্ট হতে পারে!

পাকিস্তানের সেই আরশাদ খান ‘চাওয়ালা’ই বলুন বা সেই সুন্দরী নেপালি সবজি বিক্রেতা। কেউই কল্পনা করতে পারেননি তাঁদের একটা ছবি এ ভাবে আলোড়ন ফেলে দেবে দেশে বিদেশে! এই সেনসেশনাল স্টারদের তালিকায় নতুন সংযোজন সাইমা হুসেন মির। বয়স ২১। পুণের সিমবায়োসিসের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। নিজেই জানতেন না, কখন তিনি হট ফেভারিট হয়ে উঠেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়!

দিন কয়েকের আগের ঘটনা। সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘রইস’-এর প্রমোশনাল অ্যাক্টিভিটি তুঙ্গে। নিজের ছবির প্রচারে বলিউড বাদশা শাহরুখ খান কখনও ট্রেন সফর করছেন, কখনও আম জনতার সঙ্গে সেলফি তুলছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ঘোরাফেরা করছে কিঙ্গ খানের ছবি, টুইট, পোস্ট, লাইভ। ‘রইস’-এর প্রচারে পুণের সিমবায়োসিস ইন্সটিটিউট অফ ডিজাইন এবং সিজন মলে গিয়েছিলেন শাহরুখ। সেলফি তোলেন দু’জায়গাতেই। পোস্টও করেন নি়জের প্রোফাইলে।

এমনই এক সেলফিতে শাহরুখের সঙ্গে ফ্রেমবন্দি হন কাশ্মীরি তরুণী সাইমা। আর সে ছবি পোস্ট হতে না হতেই হিট! শাহরুখের পিছনে প্রমিনেন্ট ফেস এই তনয়াটি কে? অলিভ গ্রিন টি-শার্ট পড়া মেয়েটির সম্পর্কে কৌতুহল ছড়িয়ে পড়ে। সুন্দরীর পরিচয় জানতে উত্সুক হয়ে ওঠেন নেটিজেনেরা। কমেন্টবক্স বোঝাই হতে থাকে।

শেষে, এই সেলফি কন্যার এক বন্ধুই তাঁকে ট্যাগ করলে পরিচয় জানা যায়। সাইমা হুসেন মিরের বাড়ি শ্রীনগরে। হঠাত্ পাওয়া এমন জনপ্রিয়তার কথা জানতে পেরে প্রথমে তো অবাক। তারপর ভীষণ উত্তেজিত। খুশিতে ডগমগ। ‘‘আমি প্রথমে ভাবছিলাম ও (বন্ধুটি) আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছে। কিন্তু তারপর অনেক ফোন কল এবং মেসেজ আসতে শুরু করে। আমি নিজে যখন দেখি পোস্টটি, আমি জাস্ট অবাক হয়ে যাই’’- বলেছেন সাইমা। কী ভাবে এমন প্রমিনেন্ট পোজিশনে জায়গা পেয়ে গেলেন তারও উত্তর দিয়েছেন তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী, ‘‘(শাহরুখের) সেলফিতে আমি থাকব ভাবতেই পারিনি। এত লোক ছিল ওখানে। আমার বন্ধু আমায় সাহায্য করে সামনের দিকে এগিয়ে আসতে। আমি লাকি যে আমি এই ফেস্টের কর্মকর্তাদের একজন। সে জন্যই আমি সামনের সারিতে জায়গা পেয়েছিলাম। তবে আমি আশাই করিনি যে এমন কিছু হতে চলেছে। আমি সত্যিই অভিভূত।’’-আনন্দবাজার



মন্তব্য চালু নেই