এক রাজনীতিবিদের গল্প: হাই স্কুল পাশ না করেই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী!
মার্টিন শুলৎস জার্মানির সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের নতুন সভাপতি ও আগামী সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে দলের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। অথচ তিনি হাই স্কুলের পড়া পর্যন্ত শেষ করেননি৷
এই ঝানু রাজনীতিবিদের গল্প হচ্ছে, তিনি একজন পুস্তকবিক্রেতার ছিলেন, কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশিদিন কাজ করেছেন একটি ছোট শহরের মেয়র হিসেবে৷
আজ জার্মানিতে তাঁর মূল পরিচয় হলো এই যে, তিনি সোজা আসছেন ব্রাসেলস থেকে, যেখানে তিনি ইউরোপীয় সংসদের সভাপতির পদটি সফলভাবে অলঙ্কৃত করেছেন৷
সাবেক সভাপতি সিগমার গাব্রিয়েল প্রায় কাউকে না জানিয়ে শুলৎসের সঙ্গে কথা বলে এসপিডি দলের এই নবায়ন পরিকল্পনার রূপরেখা স্থির করেন৷ রবিবারের বিশেষ সম্মেলনে সেই পরিকল্পনাই বাস্তবায়িত হলো: প্রতিনিধিরা সর্বসম্মতিক্রমে মার্টিন শুলৎসকে তাদের দলীয় সভাপতি এবং আগামী সংসদীয় নির্বাচনে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনোনীত করলেন৷ ৬০৫টি বৈধ ভোটের মধ্যে ৬০৫টি ভোটই পেয়েছেন শুলৎস৷
‘‘এই ফলাফল চ্যান্সেলরের দপ্তর পুনরাধিকার করার পথে প্রথম পদক্ষেপ, বলে আমার ধারণা”, ফল ঘোষণার পর মন্তব্য করলেন শুলৎস৷
ভোটের আগে প্রদত্ত তাঁর ভাষণে শুলৎস বিশেষ করে সামাজিক সাম্যের বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দেন৷ তথাকথিত ‘শুলৎস এফেক্ট’ বা শুলৎস প্রভাবের কারণে এসপিডি জনমত সমীক্ষায় প্রায় দশ শতাংশ এগিয়ে সিডিইউ-সিএসইউ দলকে প্রায় ধরে ফেলেছে; জনপ্রিয়তায় ম্যার্কেল কিছুটা এগিয়ে থাকলেও, শুলৎস তার কাছেই রয়েছেন৷ এই শুলৎস প্রভাব শুধু এই নতুন মানুষটির জন্যই নয়, তিনি যে বার্তা নিয়ে এসেছেন, তার জন্যও বটে৷
‘‘এসপিডি আবার ফিরেছে”, বলেন শুলৎস, ‘‘এবং সেটা জার্মানি ও ইউরোপের মানুষদের জন্য সুখবর৷ আমরা যদি নিশ্চিত না করি যে, সব কিছু সামাজিক ন্যায়সংগত ভাবে চলবে, তাহলে সেটা আর কেউই করবে না৷”-ডয়েচ ভেলে
মন্তব্য চালু নেই