এক মিনিটে আদায় করার মতো কিছু আমল
মানুষ নানা ব্যস্ততায় ইবাদত-বন্দেগি ও নেককাজের তেমন একটা সময় পায় না। কিন্তু প্রজ্ঞাবান ও বুদ্ধিমানরা সময়ের সদ্ব্যবহার করে থাকেন। তারা এক মিনিট সময়কেও অবহেলা করেন না।
এই এক মিনিট সময়ের মাঝে অনেক ভালো কাজ করা যেতে পারে, এমনকি প্রচুর সওয়াবের কাজও সম্পাদন করা সম্ভব। ইচ্ছা করলে আপনি মাত্র এক মিনিটে যেসব আমল করতে পারেন।
১. এক মিনিটে সূরা ফাতিহা মনে মনে দ্রুতগতিতে ৩ বার পড়া যায়। একবার সূরা ফাতিহা পড়লে ৬০০টিরও বেশি নেকি তার আমলনামায় লেখা হয়। তিনবার সূরা ফাতিহা পাঠে কী পরিমাণ সওয়াব লেখা হবে তা নিজেই হিসাব করে দেখুন।
২. এক মিনিটে সূরা ইখলাস (কুলহু আল্লাহু আহাদ) মনে মনে কমপক্ষে ১০ বার পড়তে পারেন। এই সূরা একবার পাঠ করলে কোরআন শরিফের এক তৃতীয়াংশ পড়ার সমান সওয়াব পাওয়া যায়।
৩. এক মিনিটে কোরআনে কারিমের এক পৃষ্ঠা তেলাওয়াত করা সম্ভব।
৪. এক মিনিটে ইচ্ছা করলে কোরআনের ছোট একটি আয়াত মুখস্থ করা যায়।
৫. এক মিনিটে আপনি সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি ১০০ বার পড়তে পারেন। যে ব্যক্তি একদিনে এই দোয়াটি ১০০ বার পড়ে তার সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেওয়া হয়- যদিও তা সমুদ্রের ফেনার সমান হয় না কেন।
৬. এক মিনিটে আপনি সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি ওয়া সুবহানাল্লাহিল আজিম ৫০ বার পড়তে পারেন। এই দু’টি এমন বাক্য- যা পড়তে খুব সহজ; আমলের পাল্লায় অনেক ভারী এবং রহমানের নিকট অতি প্রিয়। এটা ইমাম বোখারি (রহ.) বর্ণনা করেছেন।
৭. এক মিনিটে আপনি আল্লাহর কাছে ১০০ বারের বেশি ইসতিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। ক্ষমা প্রার্থনায় পড়তে পারেন আসতাগফিরুল্লাহ। এর ফজিলত অজানা নয়। এটি ক্ষমা প্রাপ্তি ও জান্নাতে প্রবেশের উপায়। সেই সঙ্গে সুখময় জীবন, শক্তি বৃদ্ধি, বিপদ-আপদ রোধ, সকল কাজ সহজীকরণ, বৃষ্টি বর্ষণ, সম্পদ ও সন্তান বৃদ্ধি ইত্যাদির মাধ্যম।
৮. এক মিনিটে আপনি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর ৫০ বার দরূদ পাঠ করতে পারেন। শুধু পাঠ করবেন- সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এর প্রতিদানে আল্লাহ আপনার ওপর ৫০০ বার রহমত পাঠাবেন। কারণ একবার দরুদ পাঠ করলে আল্লাহতায়ালা ১০ গুণ বাড়িয়ে এর প্রতিদান দেন।
৯. এক মিনিটের ফোন যোগাযোগের মাধ্যমে আপনি আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার আমল পালন করতে পারেন।
১০. এক মিনিটে আপনি কয়েকজনকে সালাম দিতে পারেন ও তাদের সঙ্গে মুসাফাহা করতে পারেন।
এ ছাড়াও আরও প্রচুর আমল রয়েছে যা এক মিনিটে করা সম্ভব। এসব আমলের বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই তেমন কিছু করতে হয় না। এ জন্য পবিত্রতার প্রয়োজন নেই, কায়িক শ্রম নেই। শুধু দরকার একটু সদিচ্ছা। আল্লাহতায়ালা আমাদের তওফিক দান করুন। আমিন।
মন্তব্য চালু নেই