এক মার্কেটেই প্রতিদিন সানি লিওনের ২০০ পর্ন সিডি বিক্রি
পর্নোগ্রাফির হেড কোয়ার্টার বলতে সচরাচর দক্ষিণ ভারতকেই ধরা হয়। কিন্তু বাংলাতেও নীলছবির চাহিদা বাড়ছে রমরমিয়ে। এরাজ্যে পর্নোগ্রাফির আড়ত হল কলকাতার চাঁদনীচক মার্কেট। কম টাকায় রগরগে সিনেমার পাইরেটেড সিডির জন্য বহু ক্রেতা ভিড় করেন এখানে।
সেখানে সানি লিওন অভিনীত পর্নোমুভির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। একশো কুড়ি টাকা থেকে আড়াইশো টাকা, বিভিন্ন রেঞ্জের সিডি পাওয়া যায় চাঁদনীতে। পরিসংখ্যান বলছে, চাঁদনী মার্কেট থেকে প্রতিদিন গড়ে শুধু সানি লিওনেরই দুশোটি করে পর্নোমুভির সিডি বিক্রি হয়। এমন পরিসংখ্যান জানিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা জিনিউজ।
জিনিউজ তাদের সংবাদে জানায়, পর্নোগ্রাফি বা নীলছবি দেখার প্রবণতা বেড়ে চলেছে বিশ্বজুড়ে। মোবাইল, ট্যাবের যুগে পর্নোগ্রাফি দেখার জন্য আর নির্জনতা খুঁজতে হয় না। তালুবন্দি মুঠোফোনে চাইলেই হাজির রগরগে ভিডিও। হাতের আড়ালেই তৈরি হয়ে যায় নিষিদ্ধ নির্জনতা। মন সেঁধিয়ে যায় আদিম রিপুর অমোঘ আকর্ষণে। পর্নোগ্রাফি দেখার অদম্য বাসনায় গা ভাসিয়েছে আমাদের দেশও।
গুগলে শুধু PORN শব্দটি টাইপ করলে ৮৬ কোটি রেজাল্ট শো করে ন্টারনেটের অফুরান ভাণ্ডারে শুধু পর্নোগ্রাফিই রয়েছে কম করে ২০ কোটি বিশাল জনসংখ্যার দেশ ভারতও এর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকে কীভাবে? সমীক্ষা বলছে, ভারত এখন পর্নোগ্রাফিতে বুঁদ। নীল ছবির ৯০ লক্ষ দর্শক রয়েছে শুধু মোবাইলেই। যা পুরো ইন্টারনেট ট্রাফিকের ৩০ শতাংশ। সেদেশের বড় সংখ্যক নাগরিক ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফির নিয়মিত কাস্টমার। ভারতে সবচেয়ে ভিসিটেড একশোটি সাইটের ৩টি হল পর্ন ওয়েবসাইট।
আর এর ফলস্বরূপ পর্নোগ্রাফি দেখায় বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। গুগলের ওই সমীক্ষায় পাকিস্তান রয়েছে এক নম্বরে। স্মার্টফোন, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট আর হাই স্পিড ডাটা সার্ভিস পর্ন ভিডিও আদানপ্রদানের বিষয়টিকে সহজ করেছে। ফলে অনায়াসে স্কুল ছাত্র থেকে সিনিয়র কর্পোরেট অফিসার, সবার কাছে রগরগে ভিডিও পৌছে যাচ্ছে অনায়াসে। দেওয়ান লিখনটাও তাই স্পষ্ট। গুগলের সমীক্ষা বলছে, সারা বিশ্বে যে দশটি দেশে সবচেয়ে বেশি পর্ন ভিডিও দেখা হয়, তার মধ্যে সাতটি শহর ভারতের।
এক্সক্লুসিভ :
পর্নোস্টার হিসেবে আমি গর্বিত : সানি লিওন
ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান পর্নো অভিনেত্রী সানি লিওন নিজের অতীত নিয়ে লজ্জিত নয় বরং গর্ববোধ করেন তিনি। বর্তমানে তার দেশ-বিদেশে অনেক ভক্ত। আর এরই মধ্যে এই অভিনেত্রী বলিউডে নিজের অবস্থান দৃঢ় করে তুলছেন। একটি প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সানি জানান, অতীত নিয়ে লজ্জিত নন তিনি। আগের পেশার কারণেই বর্তমানে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছেন তিনি। সানি বলেন, “আমি এখন যেখানে আছি তার পিছনে আমার অতীতের অনেক বড় অবদান রয়েছে। তাই একেবারেই লজ্জিত নই আমি। পর্নোতারকা হিসেবে পরিচিত ছিলাম বলেই বলিউডে খুব সহজে জনপ্রিয় হতে পেরেছি।” তিনি আরও বলেন, “আমার অ্যাডাল্ট লাইফের জন্যই আজকে ‘সানি লিওন’কে সবাই এক নামে চেনে। নাহলে কেউ আমাকে চিনতো না। আমি আমার আগের ক্যারিয়ারের জন্য লজ্জিত নই। আমি যদি সাধারণ সানি লিওন হিসেবে বলিউডে আসতাম তবে আমাকে দর্শক এতো সহজে গ্রহণ করত না। তবে আপাতত বলিউড থেকে কোথাও যাওয়ার ইচ্ছে নেই”। পরিচালক আনিস বাজমি বলেছেন তিনি আপনার সাথে কখনো কাজ করতে চান না। কারণ আপনার অভিনীত সিনেমা ফ্যামিলি অডিয়েন্সে গ্রহণযোগ্য নয়।
এ ব্যাপারে সানি বলেন, আমি জানিনা কে আমার সম্পর্কে কি ভাবে। তবে আমি এটা জানি যে আমার সাথে কাজ করার জন্য অসংখ্য মানুষ রয়েছেন।
২০১২-এর ইরোটিক থ্রিলার ‘জিসম টু’-এর মাধ্যমে বলিউডে প্রবেশ ঘটে সানির। এর আগে বিশ্বব্যাপী তার পরিচিতি ছিল একজন ইন্দো-কানাডিয়ান পর্নোতারকা হিসেবে। একজন পর্নোঅভিনেত্রীর বলিউডে প্রবেশের বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল টিনসেল জুড়ে।
সানির পাশাপাশি সে সময় সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ‘জিসম টু’-এর পরিচালক পুজা ভাটও। সমালোচকদের মতে সানিকে বলিউডে নিয়ে আসার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে পর্নোসিনেমা দেখার বিষয়ে উৎসাহিত করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই