এক টুকরো চকোলেট মানে অনেকখানি উষ্ণতা, জানুন প্রেমের চকোলেট রহস্য

জল চলে আসে? সেটা কি পুরুষের থেকে বেশি? এ সব নিয়ে কোনও গবেষণা হয়েছে কি না কে জানে! তবে একটা কথা মানতেই হবে, মেয়েরা যেন ‘চকোলেট’-এর ব্যাপারে অনেকটা শিশু। এমনিতেই মেয়েদের বয়স ধীরে ধীরে বাড়ার অভিযোগ রয়েছে, তার উপরে যদি চকোলেটের প্রসঙ্গ আসে তবে তো কথাই নেই। সবার গলাতেই আদুরে বিজ্ঞাপনী ছেলেমানুষি সুর— ‘আমি তো এমনি এমনি খাই।’

চকোলেটের মতো ভালবাসা পাওয়ার আশাতেই কি ছেলেরা মেয়েদের চোখে ‘চকোলেট বয়’ হয়ে উঠতে চায়? কে জানে! সেই সূত্র ধরেই ভ্যালেনটাইনস পরবে ‘চকোলেট ডে’ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে ফেলেছে কি না, তা-ও জানা নেই। তবে একটা কথা ঠিক। এক টুকরো চকোলেট মানে অনেকখানি উষ্ণতা। সেটা যতই কম দামী হোক না কেন, এক টুকরো চকোলেট পেলে একটা শিশু যেমন কলকল করে ওঠে, তেমন করেই এক টুকরো চকোলেট দিয়ে উচ্ছ্বল করে তোলা যায় প্রেয়সীকে। চকোলেটের নেশায় বুঁদ হয়ে যাওয়া মেয়েরা
সেটা বুঝতেই পারে না। বোঝে ছেলেরা। এক গোছা গোলাপের পাশে তাই আদুরে টেডির মতো, আহ্লাদী চকোলেটও জায়গা পেয়ে যায় প্রেম নিবদেনে।

শুধুই প্রেম পরবে কেন, জন্মদিন থেকে অন্য যে কোনও আনন্দোৎসব— সবেতেই উপহারের ডালিতে অপ্রতিদ্বন্দী চকোলেট। ইতিহাস বলছে, ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহের তৃতীয় দিনটি ইউরোপ আমেরিকায় উদযাপিত হয় এক বাক্স চকোলেট দিয়ে। সেই প্রাচীনকাল থেকেই নাকি চকোলেট-উপহারের মাধ্যমে পছন্দের মানুষটির কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে মনের বার্তা। গবেষকরা বলেন, চকোলেটে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা উদ্দীপকের কাজ করে। আবার দুশ্চিন্তা, ক্লান্তি থেকেও মুক্তি দেয় চকোলেট। নিশ্চিন্ত প্রেমের জন্য এমন কাজের জিনিস প্রেমিকদের কাছে মূল্যবান তো হবেই।
সুতরাং, আর দেরি করা নয়। যাকে ভালবাসতে ইচ্ছা করে, তাকে এক বাক্স চকোলেট দিয়েই দিন। এক মুখ হাসি আপনাকেও উদ্দীপ্ত করে তুলবে। আরও একটা বড় কথা, গোলাপ ফুল দিতে গেলে কোনও মেয়ে রিফিউজ করতেই পারে, কিন্তু চকোলেট কক্ষণও নয়।



মন্তব্য চালু নেই