এক কাপ কফির দাম ১২০০ টাকা, কোথায়? কেন?

গরম কফির কাপে আজও ধোঁয়া ওঠে। কিংবা কোল্ড কফির কাপে আজও চুমুক দিতে মন চায়। কলেজ-ইউনিভার্সিটি কেটে বন্ধুনির হাত ধরে আজও কফি হাউসে ভিড় করে শহর কলকাতা। নিখাদ প্রেম-আড্ডা আজও জমে ওঠে সন্ধের বারান্দায়। কফি-প্রেমে মন মজে নেই, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। চলো, এককাপ কফি হয়ে যাক। প্রেমিকার হাত ধরে এমন প্রস্তাব না দেওয়া পুরুষের সংখ্যাটা খুব কম। ভীষণই কম। খসুক না পকেট, তাতে কী! কতই বা খসবে?দাম শুনে বিষম খেতে পারেন। চোখ কপালে উঠতে পারে। বলে উঠতে পারেন, কফিতেও এত!এক কাপ কফি ১২০০ টাকা!কলেজ পাড়ার কফি হাউসে যদি কফি খেয়ে বিলে এই দাম দেখেন, তাহলে প্রাইমারি রিঅ্যাকশনটা কী হবে? হার্টবিট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সিওর। নাহ্, জোর কা ধাক্কা ধীরে সে লাগে।কলকাতায় এক কাপ কফি খেয়ে ১২০০ টাকা দিতে হচ্ছে না। কিন্তু নিউ ইয়র্কে দিতে হবে।নিউ ইয়র্ক সিটির আলফা ডমিঞ্চের এক্সট্র্যাকশন ল্যাবে এক কাপ ইথিওপিয়ান গিশার দাম ১২০০ টাকা। আলফা ডমিঞ্চে সবচেয়ে ভাল কফি ও কফি মেশিন বিক্রি হয়। ব্রুকলিনের অয়্যারহাউসে এর নতুন এক্সট্র্যাকশন ল্যাবটি খোলে। সেখানেই কফি খেতে গেলে দিতে হচ্ছে ১২০০ টাকা। তবে কম রেঞ্জের কফিও রয়েছে। ২০০, ২৭০, ৬৭০, ৯০০ টাকারও কফি রয়েছে। যাঁর যেমন রুচি চেখে দেখতেই পারেন।

কিন্তু ইথিওপিয়ান গিশার এত দাম কেন? এটি বিরল। খুব বেশি পাওয়া যায় না। কারণ, উত্পাদন হয় খুব কম। ইথিওপিয়া এবং পানামার কিছু অংশে এই কপির চাষ হয়। শুধু তাই নয়, গুণমানে এই কফি বিশ্বসেরা।১২০০ টাকার কফির টেস্ট কেমন? পেরেস বললেন, ‘এটা খুব ভাল। এটা খুব ইন্টারেস্টিং। এটা খুব কমপ্লেক্স কফি। আমি কফি খুব ভালবাসি। আমি সবরকম কফি খাই এবং এই কফিটাতে রহস্য আছে। চমত্কার ফ্লেভার। এটা এমন, যখন গরম খাবেন, একরকম লাগবে। যখনই ঠান্ডা হয়ে যাবে, তখন আলাদা টেস্ট। মানে, এক চুমুকে অনেক রকম অনুভূতি।’এক কাপ কফির জন্য কেন ১২০০ টাকা দেবেন? তার ব্যাখ্যাও মজুত আলফা ডমিঞ্চের সিইও-র কাছে।যখন এক কাপ কফির জন্য ১২০০ টাকা দিতে হচ্ছে, তখন নিশ্চয়ই তার মধ্যে কিছু একটা আছে। খুব স্পেশ্যাল। আমরাও খুব অল্প কিনি। তবে, আমাদের এখানে যাঁরা এই কফি খেতে চান, তাঁরা টেস্ট করতে পারেন।পেরেস এটা বলতেও ভোলেননি যে, শুধু কমদামি কফিতেই দুধ, চিনি মেশানো যায় না, ইথিওপিয়ান গিশাতেও প্রয়োজন মতো দুধ, চিনি মিশিয়ে নেওয়া যায়।



মন্তব্য চালু নেই