একাধিক বিয়ের কারণেই রাবি শিক্ষক খুন!

একাধিক বিয়ের কারণেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলন খুন হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।

শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হওয়ার পর বিকাল ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান রাবি শিক্ষক শফিউল।

একাধিক সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অধ্যাপক এ কে এম শফিউল একাধিক বিয়ে করেছেন। এ নিয়ে তার পরিবারে অনেকদিন থেকেই বিরোধ চলছিল। তাছাড়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের পরিবারে দ্বন্দ্বও চলছিল। এ কারণেই তিনি খুন হয়েছেন বলে সূত্রগুলি জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে র‌্যাব-৫ এর অপারেশন অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খালেদা বেগম জানান, হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কাজ প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনে অনেকগুলো ক্লু থাকতে পারে। একাধিক বিয়ে এবং পারিবারিক বিরোধের বিষয়টি মাথায় রেখে তদন্ত কাজ করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনের বাকি ক্লুগুলোও গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন- ‘পারিবারিক জীবন, পেশাগত জীবন ও অপরাধীদের স্বার্থ এ তিনটি বিষয়কে মাথায় রেখে পুলিশ তদন্ত কাজ শুরু করছে। হত্যাকাণ্ডের পর রক্তমাখা চাপাতি ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।’
নিহতের ছেলে ঢাকা থেকে রাজশাহী আসার পর মামলা করা হবে বলে ওসি জানান।

উল্লেখ্য, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় হাউজিং সোসাইটির (বিহাস) দিকে যাওয়ার সময় একদল দুর্বৃত্তের হামলায় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম আহত হন।

পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর বিকাল ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সব ধরণের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

এছাড়া শনিবার সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী রাস্তায় এসে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এর ফলে মহাসড়ক দিয়ে সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে রাত সাড়ে আটটার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।



মন্তব্য চালু নেই